E-Paper

মুকুটমণিপুর মেলায় ব্রাত্য কুড়মি সংস্কৃতি, অভিযোগ

সম্মেলন থেকে কুড়মি আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে বার্তা দেওয়া হয়। সমাজের জেলার মহিলা কমিটি গঠিত হয়। সংগঠনের জেলা সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বন্দনা মাহাতো।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:২৯
খাতড়ার দেদুয়াতে কুড়মি সমাজের মহিলা সম্মেলন।

খাতড়ার দেদুয়াতে কুড়মি সমাজের মহিলা সম্মেলন। নিজস্ব চিত্র।

মুকুটমণিপুর মেলায় কুড়মি সংস্কৃতিকে ব্রাত্য রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে মেলার আয়োজক তথা খাতড়া মহকুমা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে আদিবাসী কুড়মি সমাজ। শনিবার খাতড়ার দেদুয়া মোড় এলাকায় কুড়মি ভবন প্রাঙ্গণে আদিবাসী কুড়মি সমাজের বাঁকুড়া জেলা মহিলা সম্মেলন ছিল। সেখানে আদিবাসী কুড়মি সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জয় মাহাতো ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, “কুড়মিদের জমিতে গড়ে উঠেছে মুকুটমণিপুর জলাধার। জলাধার তৈরির সময়ে অনেক কুড়মি গ্রামকে ওখান থেকে উঠতে হয়েছে। আর আজ মুকুটমণিপুর মেলায় কুড়মি সমাজ ও তাঁদের সংস্কৃতিকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। মহকুমা প্রশাসনকে এর জবাব দিতে হবে।”

অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে মেলা কমিটির সচিব তথা খাতড়ার মহকুমাশাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আদিবাসী সংস্কৃতিনির্ভর অনুষ্ঠানের জন্য সব সম্প্রদায়ের মানুষদনকে যোগদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। সবাইকে সুযোগ দিতে অনলাইনের সঙ্গে অফলাইনেও ফর্ম দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। তা ছাড়া, ঝুমুর দিয়ে মেলার সূচনা হয়েছে, যা কুড়মি সংস্কৃতির অঙ্গ বলেই জানা। অনুষ্ঠানের মাঝেও ঝুমুর গান হয়েছে। কারও সংস্কৃতিকে বাদ দেওয়ার প্রশ্ন নেই। অনুষ্ঠানে সব সম্প্রদায়ের মানুষই যোগদান করছেন।”

এ দিন ওই সম্মেলন থেকে কুড়মি আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে বার্তা দেওয়া হয়। সমাজের জেলার মহিলা কমিটি গঠিত হয়। সংগঠনের জেলা সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বন্দনা মাহাতো। সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবিতা মাহাতো। বন্দনা জানান, জাতিসত্তার দাবি পূরণে তাঁরাও পুরুষদের সঙ্গে এক যোগে আন্দোলনে শামিল হবেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Khatra Mukutmanipur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy