প্রতিশোধ নয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রতিরোধের জন্য মহিলাদের অস্ত্র হাতে পথে নামার ডাক দিয়ে গেলেন বিজেপি-র মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনামুখীর রাধামোহনপুর গ্রামে বিজেপি-র সমাবেশে বক্তব্য রাখতে এসেছিলেন লকেট ও দলের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু-সহ নেতৃত্ব। সেখানে মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
লকেট অভিযোগ করেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসন কোনও কাজ করছে না। তৃণমূলের লোকেরা যে যে ভাবে পারছে লুঠ করছে। শিশুদের উপরে অত্যাচার করছে। মায়েরা কি চুপ করে বসে থাকবেন? সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে পাড়ার দাদারা যখন ভয় দেখাতে আসবে, মহিলারাই পথে নামুন। প্রতিশোধ নিতে বলছি না। প্রতিরোধ করার তাগিদেই অস্ত্র হাতে মহিলারা নামুন। নিজের পরিবারকে তো বাঁচাতে হবে?’’
তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মহিলাদের উপরে অত্যাচার চলছে। সে সব ক্ষেত্রে অপরাধীদের কিছু হচ্ছে না। অথচ বিজেপি কর্মীদের পঞ্চায়েত ভোট পর্যন্ত আটকে রাখার জন্য মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। কয়েক মাস আগে ওন্দার রামসাগরে বিজেপি-র দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের পরে তাঁদের দলের নেতা-কর্মীদেরই পুলিশ মিথ্যা মামলায় জেলে ঢুকিয়েছে বলে লকেট অভিযোগ তোলেন।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গেও তিনি সরব হন। লকেটের কথায়, ‘‘রাস্তায় পিচ নেই। এত ধুলো যে গাড়ির কাচ তুলে দিতে হয়েছে। লোকজন রাস্তায় ভিড় করলেও, ধুলোর চোটে আমাকে দেখতে পেলেন না। এটাই কি উন্নয়ন?’’ সায়ন্তন রাজ্যে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। বালি পাচার, গরু পাচার নিয়েও সুর চড়ান তিনি।
সোনামুখীর পুরপ্রধান তৃণমূলের সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘অভিনেত্রীকে এনেও বিজেপি সভা ভরাতে পারেনি। আসলে ওদের সঙ্গে মানুষ নেই। শালি নদীর উপরে অত বড় সেতু পেরিয়ে তিনি রাধামোহনপুরে গেলেন, অথচ উন্নয়ন চোখে পড়ল না!’’
এ দিন লকেটের সভায় সোনামুখীর উত্তর দেড়িয়াপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য মমতা মেটে অনুগামীদের নিয়ে তাঁদের দলে যোগ দেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি-র মহিলা মোর্চার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী শম্পা গোস্বামী। সোনামুখীর বিধায়ক সিপিএমের অজিত রায় বলেন, ‘‘আমার কাছে দলবদলের কোনও খবর নেই। কিন্তু চারদিকে যা প্রলোভন চলছে, অনেকের মাথা ঠিক রাখা দায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy