Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Locust

জঙ্গলে পোকা, শঙ্কা বিষ্ণুপুরে

রবিবার বিকেলে এলাকার এক যুবক শালপাতার উপরে অনেক পোকা দেখতে পান। মোবাইলে ছবি তুলে স্থানীয়দের দেখালে তাঁরাও  আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

সেই পোকা। নিজস্ব চিত্র

সেই পোকা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২০ ০৬:০৭
Share: Save:

শালের জঙ্গলে উচ্চিংড়ের মতো কিছু পোকা নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের রাধানগর রেঞ্জের বলরামপুর বিট এলাকায়। সোমবার সকালে পোকাগুলিকে দেখে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা পঙ্গপাল ভেবেছিলেন। ফেসবুকেও ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) জে বি ভাস্কর বলেন, ‘‘এগুলো স্থানীয় এক ধরনের পঙ্গপালের প্রজাতি। তবে ভয়ের কিছু নেই। আমরা পর্যবেক্ষণে রাখছি। প্রয়োজনে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে দিকেও নজর থাকবে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে এলাকার এক যুবক শালপাতার উপরে অনেক পোকা দেখতে পান। মোবাইলে ছবি তুলে স্থানীয়দের দেখালে তাঁরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সোমবার উৎসাহী মানুষজন জঙ্গলে ভিড় করেন। পোকাগুলি শালপাতা খেয়ে ফেলছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল মুর্মু বলেন, “পঙ্গপাল নিয়ে আমরা বিশেষ কিছু জানি না। তবে যে ভাবে এই পোকা গাছের শালপাতা খেয়ে শেষ করে ফেলছে, এক বার চাষের জমিতে ঢুকলে নিস্তার নেই।’’

বিষ্ণুপুর ব্লকের লায়েকবাঁধ পঞ্চায়েতের অনেক মানুষ চাষের উপরেই নির্ভর করেন। জঙ্গলের পাশেই ওই সব আদিবাসী এলাকা। অনেকে বন থেকে শালপাতা সংগ্রহ করে জীবিকা চালান। পঞ্চায়েতের স্থানীয় সদস্য মহাদেব মাল বলেন, “করোনা ও ঝড়ে চাষিদের অবস্থা শোচনীয়। পোকার ঝাঁক সরাতে দ্রুত প্রশাসনের কিছু করা দরকার।’’

পোকার উপদ্রবের খবর পেয়ে বনকর্মীদের নিয়ে জঙ্গলে গিয়েছিলেন রাধানগর রেঞ্জের আধিকারিক নবীন লোহার। ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) বলেন, “পোকাগুলি বাইরে থেকে আসেনি। স্থানীয় ভাবেই হয়েছে। আপাতত হাজার পাঁচেক আছে বলে জানতে পেরেছি। তবে জঙ্গলের এলাকা অনেক বড়।’’ তিনি জানান, কিছু দিন পরে পোকা চলে যেতে পারে। না হলে, পাখিতে খেয়ে ফেলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Locust Bishnupur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE