সাঁইথিয়ায় এই মিছিল নিয়েই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ে প্রকাশ্য রাস্তায় লাঠি-তলোয়ার, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ঘোরাফেরার অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের নালিশ ছিল, শাসকদল আশ্রিত সশস্ত্র দুষ্কতীদের বাধায় পঞ্চায়েতের অনেক আসনে মনোনয়নই দাখিল করতে পারেননি বিরোধীদের অনেকে। তার জেরে লাভপুর, নানুর, বোলপুর, ইলামবাজার ব্লক সহ জেলার অনেক পঞ্চায়েতে ভোটই হয়নি।
পুরনো ‘স্মৃতি’ উস্কে লোকসভা ভোটের আগে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে মোটরবাইক মিছিল করার অভিযোগ ফের উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের নেতারা অবশ্য ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে সাঁইথিয়ায় হরিশাড়া অঞ্চল কমিটির পক্ষ থেকে মোটরবাইক মিছিল বের করা হয়। হরিশাড়া লেটপাড়া থেকে বুইচা, সোরোলা, কদমখন্ডী, মোতিপুর, ললিয়াপুর হয়ে বাঘডাঙা মোড় পর্যন্ত যায় ওই মিছিল হয়।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শ’দুয়েক মোটরবাইকের ওই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের হরিশাড়া অঞ্চল কমিটি সভাপতি প্রশান্ত মণ্ডল, অঞ্চল কমিটির সম্পাদক চিন্ময় ঘোষ, পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেদন ঘোষ।
এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, ওই মিছিলে শামিল কয়েক জনের হাতে উদ্যত আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গিয়েছে। প্রকাশ্য রাস্তাতেই অস্ত্র হাতে নিয়ে মোটরবাইকে ঘুরতে দেখা গিয়েছে তাদের।
এই অভিযোগের বিষয়ে শাসকদলকে বিঁধে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা বলেন, ‘‘এ আর নতুন কথা কী? এ তো ওদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যেই পড়ে। মানুষকে চমকানোর জন্য অস্ত্র প্রদর্শন করছে। কিন্তু ওরা জানে না, একই অস্ত্র বার বার ব্যবহার করা হলে ভোঁতা হয়ে যায়। ওদের ভোঁতা অস্ত্রে মানুষ আর ভয় পায় না।’’একই বক্তব্য জেলা বিজেপি সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়েরও। তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আর্কষণ করা হবে।’’
তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতি প্রশান্ত মণ্ডল অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, ‘‘ওই মিছিলে কারও হাতে অস্ত্র ছিল বলে খবর পাইনি। যদি কারও হাতে থেকেও থাকে, তা হলে সেটা খেলনা বন্দুক হতে পারে।’’
বুধবার সকালে সাঁইথিয়ার বনগ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪টি সংসদে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মোটরবাইক মিছিল হয়। নেতৃত্ব দেন বনগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তুষারকান্তি মণ্ডল এবং সাঁইথিয়ার ব্লক তৃণমূল সভাপতি সাবের আলি খান। শ’খানেক কর্মী মোটরবাইকে প্রতি গ্রামে ঘোরে। মিছিল শুরু হয় বনগ্রাম অঞ্চলের পার্টি অফিস থেকে। গ্রাম ঘুরে সেখানেই এসে শেষ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy