পুরুলিয়ায় ছিল তিন কোম্পানি। বাঁকুড়ায় দু’কোম্পানি। সবাই রওনা দিলেন উত্তরবঙ্গে।
এ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে গোড়াতেই ভোট হবে উত্তরবঙ্গে। সেখানে নিরাপত্তার জন্য দুই জেলার জঙ্গলমহল থেকে পাঁচ কোম্পানি সিআরপি তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার। তাদের জায়গায় রাজ্য পুলিশ মোতায়েন হয়েছে বলে পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ রওনা হওয়ার বার্তা আসে ক্যাম্পগুলিতে। বান্দোয়ানের কুচিয়া আর গুড়পানা গ্রামে এক কোম্পানি করে সিআরপি ছিল। বরাবাজারের বেড়াদায় ছিল আরও এক কোম্পানি। বাঁকুড়ার ঝিলিমিলি আর সারেঙসকরায় এক কোম্পানি করে। পত্রপাঠ তাঁরা যাত্রার তোড়জোড় শুরু করে দেন।
ক্যাম্পগুলি পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড এবং পড়শি জেলা ঝাড়গ্রামের সীমানা এলাকায়। কিছু দিন আগেই পুরুলিয়া লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা জেলার নিমডি থানার ঘুটিয়াড়িতে মাওবাদীদের নামে পোস্টার মিলেছে। সম্প্রতি কুচিয়ায় ঝাড়খণ্ড পুলিশ এবং এ রাজ্যের পুলিশ এক সঙ্গে বৈঠকও করেছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঠাঁইনাড়া হওয়ায় কিছুটা চিন্তায় পড়েছেন গ্রামবাসীর একাংশ। বান্দোয়ানের কুচিয়ার ঘোলহুড়া গ্রামের জহরলাল মাহাতো, মাকপালি গ্রামের রামু মাহাতোরা বলেন, ‘‘চিন্তা হচ্ছে। সেই ২০০৫-২০০৬ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় রয়েছে। নিশ্চিন্তে ছিলাম।’’
জেলা পুলিশ জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী যে সমস্ত এলাকায় ছিল আপাতত সেখানকার নিরাপত্তা দেখভাল করবে রাজ্য পুলিশ। এ ছাড়া পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি, বলরামপুর, কোটশিলা এবং আড়শায় বহাল থাকছে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের নাগা বাহিনী।