n স্বহস্তে: পুঞ্চার ঢাঙাগোড়ায়। নিজস্ব চিত্র
কলকাতা থেকে ফিরে, দোল পর্ব মিটিয়ে শুক্রবার সকালেই পুঞ্চার নপাড়ায় পৌঁছে গেলেন বীরসিংহ মাহাতো। ভোটের সময়ে তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট হতেন যিনি, সিপিএমের সেই দীর্ঘ দিনের জেলা সম্পাদক নকুল মাহাতো এ বার আর নেই। সুইসা নেতাজি আশ্রম থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচার শুরু করার পরে বামফ্রন্ট প্রার্থী বীরসিংহ মাহাতো জানিয়ে দিয়েছিলেন, সেটা আনুষ্ঠানিক। মাঠে নামবেন নকুল মাহাতোর মাটি থেকেই।
পুঞ্চার নপাড়ায় থাকতেন নকুলবাবু। এ দিন সেখানে স্মৃতিতে ফিরে যান বীরসিংহবাবু। বলছিলেন, ‘‘সেই ১৯৯১ সালে প্রথম বার লোকসভা ভোটে লড়েছিলাম। চিত্তরঞ্জন মাহাতোর আকস্মিক মৃত্যুর পরে উপনির্বাচনে আমাকে প্রার্থী করল বামফ্রন্ট।’’ তিনি জানান, তার আগে নিজের ভোটের অভিজ্ঞতা বলতে জেলা পরিষদে লড়ে জিতে আসার। লোকসভা তার তুলনায় অনেক বড় ব্যাপার। নকুলবাবুই অভয় দিয়েছিলেন তাঁকে।
বীরসিংহবাবু বলেন, ‘‘সেই ৯১ সালে নকুলদা আমার নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছিলেন। তারপরেও অনেক বার হয়েছেন। কী ভাবে সব সামলে রাখতেন, বুঝতেও দিতেন না। প্রচার কী ভাবে হবে, কোন কোন জায়গায় যেতে হবে, কাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হবে— গোটা লোকসভা এলাকা ধরে বলে দিতেন ছবির মতো।
এদিন নপাড়ায় পৌঁছে লাগোয়া ঢাঙাগোড়ায় নকুল মাহাতোর সমাধির পাশে ছবিতে মালা দেন তিনি। পলাশ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সহকর্মীরাও। ছিলেন নকুল মাহাতোর কন্যা, প্রাক্তন বিধায়ক সাম্যপ্যারী মাহাতো, বিলাসীবালা সহিস ও অন্য নেতারাও। বীরসিংহবাবু বলেন, ‘‘নকুলদাকে আজ বড্ড মনে পড়ছে। মনে হচ্ছে, আমরা অভিভাবকহীন। তবে ওঁর পথ ধরেই চলব।’’ পরে ঢাঙাগোড়ায় একটি পথসভাও করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy