Advertisement
E-Paper

শাসক বিরোধী সভা, রাস্তায় ভোগান্তির শঙ্কা

বিশৃঙ্খলা নিয়ে জেলা নেতৃত্বের প্রতি ক্ষুব্ধ অনুব্রত তাই আজ সোমবার ইলামবাজারে অভিষেকের সভায় কর্মী, সমর্থকদের পৌঁছনো থেকে যাবতীয় বন্দোবস্তের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছেন। 

বাসুদেব ঘোষ

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৪৯
বোলপুরে দিলীপের রোড শো। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

বোলপুরে দিলীপের রোড শো। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

নলহাটিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় কর্মী, সমর্থকদের পৌঁছনোর বন্দোবস্ত দেখে বেজায় চটেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এক তো বাস কম তার উপরে সভা থেকে দু-কিলোমিটার দূরে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাস। সেখান থেকে হাঁটতে হয়েছিল সভাস্থল পর্যন্ত। দলের যুব সভাপতির সভায় কর্মীদের পৌঁছতে দেরি আর

বিশৃঙ্খলা নিয়ে জেলা নেতৃত্বের প্রতি ক্ষুব্ধ অনুব্রত তাই আজ সোমবার ইলামবাজারে অভিষেকের সভায় কর্মী, সমর্থকদের পৌঁছনো থেকে যাবতীয় বন্দোবস্তের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছেন।

জেলা সভাপতির নির্দেশে কর্মী সমর্থকদের যথাসময়ে সভাস্থলে পৌঁছতে এবার বীরভূম জেলা থেকে ১৩০টি বাস নিয়েছে তৃণমূল। একই দিনে মহম্মদবাজারের গণপুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভার জন্যও বাস না পেয়ে জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে ছোট যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়িগুলি ভাড়া করা হয়েছে। নির্বাচনের কারণে আগে থেকেই পড়শি জেলা মুর্শিদাবাদের দুটি কেন্দ্র মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুরের জন্য প্রশাসনের নির্দেশে আগেই বহু সংখ্যক বাস বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদে পাঠানো হয়েছে।

ফলে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে বীরভূমে সড়ক পথের

যাত্রীদের যে নাকাল হতে হবে তা স্পষ্ট। বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুজিতকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে ১৩০টি বাস ও মিনিবাস বুক করা হয়েছে। সোমবার যাত্রীদের জন্য রাস্তায় চলবে বিভিন্ন রুটের মোট ৫০টি বাস। বাসের ঘাটতির পাশাপাশি সব রুটের বাস না চলায় যাত্রীদের

সমস্যা হবে। কিন্তু আমরাই বা কী করতে পারি?’’ যাত্রী পরিষেবায় সমস্যার বিষয়টি কার্যত উড়িয়ে দিয়ে ইলামবাজার অঞ্চলের তৃণমূল ব্লক সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, ‘‘সবথেকে বড় কথা, ইলামবাজারের মানুষ এক ঐতিহাসিক জনসভা দেখবেন। প্রায় ৬০ হাজার মানুষের সমাগম হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতে।’’

সোমবার দুপুর দুটোয় ইলামবাজারের রাইস মিল ফুটবল ময়দানে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নলহাটিতে নির্বাচনী প্রচারে অভিষেকের সভায় আশানুরূপ ভিড় হয়নি। কিন্তু ইলামবাজারে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসার ঠিক আগে অভিষেকের সভাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে চলেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘অভিষেকের সভাতে প্রধানমন্ত্রীর সভার থেকেও বেশি লোক

সমাগম করে মাঠ ভরাতে পারাটাই আমাদের লক্ষ্য। তাই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে করে লোক আসবে এই সভাতে।’’

বিজেপির সভার মতোই তৃণমূলের সভাতেও আটোসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সভাস্থলে লাগানো হয়েছে ১৬টি সিসি ক্যামেরা, দুটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড করা হয়েছে। একটি পারুলডাঙ্গা ময়দানে অন্যটি ইলামবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের মাঠে। নিরাপত্তার খাতিরে অস্থায়ী হেলিপ্যাডগুলিতেও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সভা মঞ্চটি ৬০ ফুট লম্বা ও ৩২ ফুট চওড়ার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেকের সভায় সিভিক ভলান্টিয়ার, পুলিশ মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ জন। সভাতে দর্শকদের জন্য পর্যাপ্ত চেয়ার পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকছে। তৈরি করা হয়েছে ২৫টি অস্থায়ী শৌচাগার।

কিন্তু অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে জেলার দুই প্রান্তে একই দিনে শাসক ও বিরোধী দুই রাজনৈতিক দলের সভার জন্য ভোগান্তি পোহাতে হবে সাধারণ মানুষকেই। এই বিষয়ে বোলপুরে বাম প্রার্থী সিপিএমের রামচন্দ্র ডোমের বক্তব্য, ‘‘সাধারণ মানুষের কথা আর ওঁরা ভাবেন না। মেগা সভা করাটাই ওঁদের লক্ষ্য। প্রশাসন কেন অনুমতি দিল? প্রশাসন সামলাক এবার।’’

Lok Sabha Election 2019 Traffic Political Party Rally Election Campaign
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy