Advertisement
E-Paper

পিছলে কুয়োয়, হল না পরীক্ষা দেওয়া

দুবরাজপুরের যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহাগ্রামে ওই পরীক্ষার্থীর নাম অর্পিতা চৌধুরী।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৪৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর আগে স্নানের সময় পা পিছলে কুয়োর মধ্যে পড়ে যাওয়ায় এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়াই আটকে গেল।

দুবরাজপুরের যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহাগ্রামে ওই পরীক্ষার্থীর নাম অর্পিতা চৌধুরী। মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ ওই দুর্ঘটনায় বরাত জোরে প্রাণে বাঁচলেও পরীক্ষা দেওয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছতে পারেনি যশপুর উচ্চবিদ্যালয়ের অন্যতম সেরা ওই ছাত্রী। প্রথমে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, সেখান থেকে সিউড়ি জেলা হাসপাতালের ভর্তি করানো হয় তাকে।

সিউড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার শোভন দে জানিয়েছেন, শরীরে আঘাত বিশেষ না থাকলেও ট্রমা ও খিঁচুনির হতে থাকায় ওই ছাত্রী পরীক্ষা দেওয়ার অবস্থায় ছিল না। তবে বিকেলের পরে সে অনেকটা সুস্থ রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সকাল থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই ছাত্রী। পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছিল হেতমপুর রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ে। সকাল ৯টা নাগাদ মেয়ে যখন বাড়ির বাথরুমে ঢুকছে, বাবা বরুণ চৌধুরী মেয়েকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন। কিন্তু, স্নান সেরে বেরোনের পরেই কোনও ভাবে কুয়োর মধ্যে পড়ে যায় অর্পিতা।

জলে সজোরে কিছু পড়ার আওয়াজ শুনতে পান জেঠিমা টুনু চৌধুরী। তার পরেই হুলস্থুল পড়ে যায়। জেঠু অসীম চৌধুরী বলছেন, ‘‘আমার স্ত্রী চিৎকার করতেই বাথরুমের কাছে ছুটে গিয়ে দেখি, মেয়ে কুয়োর মধ্যে পড়ে গিয়েছে।

জল কম ছিল। দড়ি ফেলে ওকে কোনও রকমে ওঠানো হয়।’’ কিন্তু, জল থেকে তোলার পরেই খিঁচুনি শুরু হয়ে যায়। কথাও বলতে পারছিল না। দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার একটু পরেই সিউড়িতে রেফার করা হয়।

যশপুর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বুদ্ধদেব দত্ত বলছেন, ‘‘বড় আফশোস হচ্ছে। তবে এমন একটা দুর্ঘটনার পরে মেয়েটি ভাল আছে সেটাই বড়।’’ পরিজনেরাও একই কথা বলছেন।

Drowning Madhyamik Exam 2020
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy