কিছু দিন আগেই শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর এবং মাদ্রাসা বোর্ড, জেলা পুলিশ ও জেলা শিক্ষা দফতরকে সঙ্গে অভিযান চালিয়েছিল। ৩৬ জনকে স্কুলে আসতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ নিয়ে বুধবার জেলার একটি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক এবং অন্য একটি মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে তলব করেছিল মাদ্রাসা বোর্ড। মাদ্রাসা বোর্ডের কলকাতার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ভবনে শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
মাদ্রাসা বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, বোর্ডের সচিব রামপুরহাট মহকুমার অধীন মাড়গ্রাম হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক গোলাম মহম্মদ এবং বোলপুর মহকুমার অধীন মেটেকোনা মৌলানা আবু তাহের সিনিয়র মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মী মহম্মদ নাসিরুদ্দিনকে শুনানিতে তলব করেছিলেন। তবে এ দিনের শুনানিতে তাঁরা হাজির ছিলেন কি না, তা জানতে দু’জনের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
এই দুই মাদ্রাসার শিক্ষকদের দাবি, শুধু শিক্ষক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে অনিয়ম নয়, স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রেও ওই দু’জন স্কুলের ভিতরে শিক্ষকদের উপরে যথেষ্ট প্রভাব খাটিয়েছেন। তাঁরা কোনও নিয়ম মানেননি বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের বীরভূম জেলা মাদ্রাসা শিক্ষক সেলের জেলা সভাপতি মহম্মদ ফজলে মৌলা খান বলেন, ‘‘জেলার যে চারটি মাদ্রাসায় ভুয়ো শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল সে সমস্ত মাদ্রাসাগুলিকে একাধিক বার সতর্ক করা হয়েছিল। পাশাপাশি, জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর, মাদ্রাসা বোর্ড এবং সংখ্যালঘু দফতরে জানানো হয়েছিল। বর্তমানে প্রশাসন যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে তাতে আমরা খুশি।’’
অন্য দিকে, নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সদস্য সৌগত রায় বলেন, ‘‘শাসক দলের মদতে ২০১৫ সালে এ ভাবে অবৈধ নিয়োগ করা হয়েছে। মোট ৩৬ জন নিযুক্ত হয়েছিল। অভিযোগের তদন্তে আসে মাদ্রাসা বোর্ড। পাশাপাশি, দুর্নীতির অভিযোগেও জড়িতদের তলব করা হয়েছে। আমরা চাই যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)