সেই সোমবার থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। তাতে পারদ নেমে গরম থেকে স্বস্তি মিলল সকলের। তবে, ঝড়ের হাত ধরে বিক্ষিপ্ত ক্ষয়ক্ষতির খবরও মিলেছে। বিদ্যুৎহীন থেকেছে বহু এলাকা। জেলায় বৃষ্টি হয়েছে মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও।
এ দিকে, কালবৈশাখীর দাপটে বিদ্যুৎ পরিষেবায় বিপর্যস্ত হয়েছে রাজনগর এবং দুবরাজপুরের একাংশ। শনিবার বিকেলের প্রবল ঝড়ের পরে সোমবার বিকেল। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পরেও খয়রাশোল, দুবরাজপুরের কিছু জায়গায় আসেনি কারেন্ট। রবিবার সন্ধ্যার ঝড়-জলেও নতুন করে ক্ষতি হয়েছে সিউড়ি ও সংলগ্ন এলাকায়। তিলপাড়া পঞ্চায়েতে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে আহত হন এক জন। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনগর, খয়রাশোল ও দুবরাজপুর মিলিয়ে গোটা পঞ্চাশেক বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে। সবচেয়ে সমস্যা হয়েছে দুবরাজপুরের কুখুটিয়া থাকে সারিবাগান পর্যন্ত ৩৩ হাজার ভোল্ট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎবাহী ১১টি খুঁটি ভেঙে যাওয়ায়। বেঁকে গিয়েছে লোহার পোলও। রাত-দিন কাজ করেও তাই সোমবার বিকেল পর্যন্ত পরিষেবা সম্পূর্ণ চালু করা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন থাকার পরে রাজনগরে বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হয়েছে রবিবার। খয়রোশোলের বিরাট তল্লাট অন্ধকারে ডুবে ছিল রবিবার গোটা রাত। দুর্ভোগে পড়েন এলাকাবাসী। রাজনগর থেকে বিদ্যুৎ টেনে সোমবার সকাল থেকে পরিষেবা দেওয়া হলেও বহু গ্রামে বিদ্যুৎ আসেনি সোমবার বিকেলেও। বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওনাল ম্যানেজার কৃষ্ণকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘সাধ্য মতো চেষ্টা চালানো হচ্ছে। দুবরাজপুরের কুখুটিয়া গ্রামের কাছে হাইটেনশন লাইনে কাজ চলছে। আশাকরি সোমবার সন্ধ্যার মধ্যেই পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’’