Advertisement
১৮ মে ২০২৪
হিংলো পঞ্চায়েত

কেন পোস্টার, খোঁজ নিলেন মন্ত্রী

হিংলো পঞ্চায়েতের সারেন্ডা গ্রামে তৃণমূল নেতাকে হুমকি দিয়ে পোস্টার পরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় খোঁজ নিতে হাজির মন্ত্রী তথা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ আশিসবাবু হিংলোর দলীয় কার্যালয়ে আসেন। তাঁর আসার খবর পেয়ে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন মহম্মদবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বৃকোদর সান্যাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:০৯
Share: Save:

হিংলো পঞ্চায়েতের সারেন্ডা গ্রামে তৃণমূল নেতাকে হুমকি দিয়ে পোস্টার পরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় খোঁজ নিতে হাজির মন্ত্রী তথা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ আশিসবাবু হিংলোর দলীয় কার্যালয়ে আসেন। তাঁর আসার খবর পেয়ে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন মহম্মদবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বৃকোদর সান্যাল। পরে মন্ত্রী এলাকায় ঢুকে প্রথমে স্থানীয়দের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। পরে দলীয় কার্যালয়ের ভিতর হুমকি পাওয়া জেলা কমিটির নেতা কালী প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনান্য নেতৃবর্গের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।

কালীবাবু বলেন, ‘‘২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বরের রাতে এই সারেন্ডা গ্রামেরই এক তৃণমূল কর্মী দীপক পালকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় দীপকের স্ত্রী সান্ত্বনাদেবী-সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মহম্মদবাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ৬ মহিলা সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে। বাকি ৬ জন এখনো ফেরার।’’ তিনি জানান, পরে প্রায় দীর্ঘ ৭ মাস বাদে সিউড়ি জজ কোর্ট থেকে ৬ জন মহিলা জামিনে ছড়া পান। বছর খানেক বাদে হাইকোর্টের নির্দেশে বাকি ছ’জন পুরুষও শর্তাধীন জামিনে ছাড়া পান। শর্ত ছিল আদালতের কাজ ব্যতীত আর কোনও কারণে ওই ছয় ব্যক্তি সিউড়ি মহকুমা এলাকায় ঢুকতে পারবে না এবং রামপুরহাট-বোলপুর মহকুমার অন্তর্গত যে কোনও থানায় সপ্তাহে ৪ দিন হাজিরা দিতে হবে। কিন্তু দীপক খুনে অভিযুক্ত আরও বাকি ৬ জন ব্যক্তি ধরার দাবীতে স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার সরব হন। আর তার জেরেই ওই দুষ্কৃতীদের রাগ তাঁর উপর এসে পড়ে।

সিপিএমের মহম্মদজার জোনাল কমিটির সম্পাদক প্রভাস মাল বলেন, ‘‘এটা আসলে ওদেরই গোষ্ঠী কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ। ওদের কোন্দল প্রকাশ পেতেই ওরা আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেখুক আমাদের কেউ যুক্ত আছে কিনা।’’ জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা বলেন, ‘‘সিপিএম এই কালচারের সম্পূর্ণ বিরোধী। কোনও তৃণমূল নেতা কি বলল তাতে কিছু যায় আসে না। মানুষ জানে কোনটা ঠিক।’’ মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যয় বলেন, ‘‘স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী ওই এলাকায় একটি আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আমি থানার অফিসারদের অনুরোধ করেছি যেন ওই আতঙ্ক সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিয়ে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনে।’’

গোটা ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক এ দিন বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

poster threat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE