Advertisement
E-Paper

নিখোঁজের দেহ মিলতেই পথ অবরোধ ক্ষুব্ধ জনতার

রাতভর নিখোঁজ থাকার পরে এলাকার দেশি মদের দোকানের পাশ থেকে নিথর দেহ মিলল এক যুবকের। আর তার পরেই জনতার রোষ গিয়ে পড়ল ওই দোকানের উপর। এলাকায় মদ ও নেশার সামগ্রী বিক্রি বন্ধের দাবিতে পথ অবরোধও করেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের একাংশ। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৬ ০২:৩৫
ক্ষুব্ধ জনতা। মহম্মদবাজারের কাপাসডাঙায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

ক্ষুব্ধ জনতা। মহম্মদবাজারের কাপাসডাঙায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

রাতভর নিখোঁজ থাকার পরে এলাকার দেশি মদের দোকানের পাশ থেকে নিথর দেহ মিলল এক যুবকের। আর তার পরেই জনতার রোষ গিয়ে পড়ল ওই দোকানের উপর। এলাকায় মদ ও নেশার সামগ্রী বিক্রি বন্ধের দাবিতে পথ অবরোধও করেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের একাংশ। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

শুক্রবার সকালে মহম্মদবাজারের পাথর শিল্পাঞ্চলে কাপাসডাঙার ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃত যুবকের নাম হিলাল শেখ (৩৮)। বাড়ি স্থানীয় ভাঁড়কাটা গ্রামে। তাঁর ঘাড়ে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দেহটি সকালেই ময়না-তদন্তের জন্য সিউড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পেশায় দিনমজুর হিলাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তার পর আর ফেরেননি। এ দিন ভোর ৪টে নাগাদ কাপাসডাঙায় মদের দোকানের কাছে সোতসাল-পাঁচামি রাস্তার উপর পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। হিলালের পরিবারের দাবি, পেশায় রাজমিস্ত্রি হেলাল মাঝে মধ্যে ক্রাশারে দিনমজুরের কাজও করতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রোজা খুলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। রাত হয়ে গেলেও না ফেরায় তাঁর খোঁজখবর করা শুরু হয়। কিন্তু হিলালের আর দেখা মেলেনি। হিলালের দাদা সিরাজুল বলেন, ‘‘ভাই কোনও ঝুট ঝামেলার মধ্যে থাকত না। কেবল একটু মদ খাওয়ার অভ্যাস ছিল। সকালে খবর পাই মদের দোকানের কাছে রাস্তার ধারে ওর দেহ পড়ে আছে।’’ হিলালের ভাই আলিমের অভিযোগ, তাঁর দাদাকে কেউ বা কারা পিটিয়ে খুন করেছে।

এ দিকে, ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ক্ষোভ ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মদ ও মাদক বিক্রিকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রায় অশান্তি লেগে থাকে। তা নিয়ে গণ্ডগোল থেকেই হিলালকে খুন করা হতে থাকতে পারে বলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা। প্রতিবাদে মদের ঠেক বন্ধ, অবৈধ মদ ও মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের দাবিতে সকাল ১০টা নাগাদ সোতসাল-পাঁচামি পথ অবরোধ শুরু করেন বাসিন্দারা। পরে পুলিশ নেশার সামগ্রী বিক্রেতা সন্দেহে তিন জনকে আটক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বাসিন্দারা অবরোধ তুলে নেন।

পুলিশ জানায়, মৃত যুবকের ঘাড়ে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ খুনের অভিযোগ দায়ের করেননি। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে না। মহম্মদবাজারের বিডিও তারাশঙ্কর ঘোষের দাবি, ‘‘বেআইনি মদ ও মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় আবগারি দফতরের আধিকারিককে বলেছি।’’

Deceased body Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy