বাড়ির পাশে দিদার বাড়িতে দুধ আনতে বেরিয়েছিল ১৩ বছরের কিশোরী। তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। গত পয়লা জুনের ঘটনা। ঘটনার দিনই কিশোরীর বাবা পুলিশের কাছে তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। বেঙ্গালুরু থেকে তাকে উদ্ধার করল রামপুরহাট থানার পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে রামপুরহাট আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে কিশোরীর বয়ান নেওয়া হয়। পরে তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তদন্তে জানা গিয়েছে, কিশোরীটিকে কয়েক জন মুখে কাপড় চেপে ধরে এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে চাপিয়ে নেয়। পরে তাকে নিয়ে বাইরে থেকে এলাকায় খাটতে আসা একজন যুবক গাড়ি করে বেপাত্তা হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বেঙ্গালুরুর মহাদেবপুর থানা এলাকার হুড়া এলাকা থেকে নাসিরুদ্দিন মোল্লা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার রামপুরহাট আদালতে যুবকটিকে পাঠানো হয়। আদালত যুবককে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাঁকুড়ার জয়পুর থানা এলাকার মুরালিগঞ্জ এলাকার যুবক নাসিরুদ্দিন মোল্লার পরিবার বসবাস করেন। তাঁর স্ত্রী ও দুই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। এলাকায় রাস্তা ঢালাই এর কাজে দৈনিক মজুরির কাজ করত নাসিরুদ্দিন। কাজের জন্য রামপুরহাট থানা এলাকার কিশোরীটির গ্রামে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত। কিশোরীটির বাবার অভিযোগ, পূর্ব আক্রোশ বশত এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতী আমার মেয়ের সর্বনাশ করার হুমকি দিয়েছিল। তারই জেরে ওরা পরিকল্পনা করে আমার একমাত্র মেয়েকে অপহরণ করে ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীটিকে নিয়ে প্রথমে বর্ধমান, পরে হাওড়া এবং পরবর্তীতে খড়গপুর হয়ে বাঙ্গালোর নিয়ে যায় ওই যুবক। নাসিরুদ্দিনের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন খোঁজ করতে থাকে। জানতে পারে যুবকটি আগে বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ঠিকাদারের অধীনে কাজ করে থাকার জন্য কিশোরীকে নিয়ে গিয়ে রাখতে সাহস পেয়েছিল।
ঘটনার তদন্তকারী অফিসার রামপুরহাট থানার এএসআই বিমান ঘোষের নেতৃত্বে একটি দল বেঙ্গালুরুতে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy