সেই শিশু।—নিজস্ব চিত্র।
ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ঝাড়খণ্ডের ভাগা স্টেশনে মঙ্গলবার সকালে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন রঘুনাথপুর থানার করনডি গ্রামের মণীশ বাউড়ি। তাঁর দাবি, নিজের ছেলে বলে পরিচয় দিয়ে এক মহিলা একটি শিশুকে তাঁর হাতে দিয়ে যান। টিকিট কেটেই ফিরবেন বলেও মহিলা আর ফেরেননি। শেষ পর্যন্ত বছর চারেকের শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে চলে আসেন মণীশবাবু। বুধবার দুপুরে আদ্রার নতুনডি পঞ্চায়েতের প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে শিশুটিকে রঘুনাথপুর থানায় পৌঁছে দিলেন তিনি। রঘুনাথপুর থানার পুলিশ শিশুটিকে চাইল্ডলাইনের মাধ্যমে আদ্রার মণিপুর গ্রামের অরুণোদয় শিশু নিকেতন হোমে পাঠিয়েছে। চাইল্ডলাইনের আদ্রা সেন্টারের কর্মকর্তা মন্টু মাহাতো জানান, আজ, বৃহস্পতিবার তাকে নিয়ে রঘুনাথপুর মহকুমাশাসকের কাছে যাওয়া হবে।
মণীশবাবু বলেন, ‘‘কোলে বাচ্চা নিয়ে টিকিটের লাইনে দাঁড়াতে মহিলার সমস্যা হবে ভেবে শিশুটিকে কাছে রেখেছিলাম। কিন্তু টানা পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও ওই মহিলা আর ফেরেননি। স্টেশন, এমনকী বাইরে গিয়েও খোঁজ করেছি। কিন্তু তাঁর আর দেখা পাইনি। অগত্যা শিশুটিকে নিয়েই ফিরে আসি।’’
শিশুকে নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যা মণীশবাবু বাড়ি ফেরার পরেই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল তৈরি হয় এলাকায়। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বুধবার সকালে তিনি পঞ্চায়েত প্রধান শেখ গোলাম মোস্তাফার কাছে যান। তাঁর পরামর্শে দুপুরে সবাই মিলে শিশুটিকে নিয়ে থানায় যাওয়া হয়।
বছর চারের ওই শিশুটির সঙ্গে কথা বলে পুলিশ এবং চাইল্ড লাইন কিছুই জানতে পারেনি। মন্টুবাবু বলেন, ‘‘বাচ্চাটি হিন্দিভাষী। নিজের নামই ঠিক ভাবে বলতে পারছে না। চকোলেট আর বিস্কুট দিয়ে ওর সঙ্গে ভাব পাতানো হয়েছে। তবে বাবা-মায়ের নাম ঠিকানা জানার জন্য অনেক চেষ্টা করেও লাভ হয়নি।’’ গোটা ঘটনায় অন্ধকারে পুলিশও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy