Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Mother questioned

কেন ‘খুন’, মায়ের মুখে কুলুপ

বুধবার আদালতে তোলার আগে তালড্যাংরা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা হয় অণিমার। পুলিশ জানিয়েছে, শারীরিক পরীক্ষায় ধরা পড়ে অণিমা ‘পক্সে’ আক্রান্ত। সেই কারণে তাকে আদালতে তোলা যায়নি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তালড্যাংরা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৯ ০১:৪৩
Share: Save:

পুলিশের জেরায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন তালড্যাংরায় শিশুকন্যা হত্যায় অভিযুক্ত অণিমা মাকুড়। সোমবার গভীর রাতে দেড় বছরের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুকন্যাকে বাড়ির পাশের পুকুরে ছুড়ে ফেলে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল অণিমার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, কন্যাকে হত্যার অভিযোগ সম্পর্কে একটি কথাও জেরায় বলেনি অভিযুক্ত।

বুধবার আদালতে তোলার আগে তালড্যাংরা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা হয় অণিমার। পুলিশ জানিয়েছে, শারীরিক পরীক্ষায় ধরা পড়ে অণিমা ‘পক্সে’ আক্রান্ত। সেই কারণে তাকে আদালতে তোলা যায়নি।

ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে অণিমাকে। সেই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে খাতড়া আদালতকেও। পুলিশকে বিচারকের নির্দেশ, সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে আদালতে তুলতে হবে।

মঙ্গলবার অণিমার বিরুদ্ধে তালড্যাংরা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন পেশায় গাড়িচালক তার স্বামী ভরত মাকুড়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অণিমাকে।

হাসপাতাল চত্বরে পুলিশের গাড়ি থেকে নামার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অণিমার বক্তব্য, ‘‘আমি নিজেও কিছু বুঝতে পারিনি, কেন এমন করলাম।’’ কেউ কি এই কাজ করতে বলেছিল? কিছুক্ষণ থেমে তার জবাব, ‘‘না। তখন মাথায় কী যে রাগ ঢুকে গিয়েছিল বুঝতে পারিনি।’’

পুলিশ সূত্রের দাবি, মেয়েকে পুকুরে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ স্বীকার করেছে অণিমা। কিন্তু কেন এই কাজ করল, তার কোনও জবাব সে দেয়নি। এই প্রশ্নের উত্তরে বারবার অণিমা জানিয়েছে, কেন সে এমন করে ফেলেছে তা তার জানা নেই। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’

পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল অণিমার। তার বড় মেয়ের বয়স সাড়ে তিন বছর। বছর দেড়েক আগে আরও এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় অণিমা। কিন্তু দ্বিতীয় সন্তান ছিল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। পুলিশের অনুমান দ্বিতীয় বার কন্যা সন্তানের জন্মের পরে পারিবারিক কোনও অশান্তির কারণে অণিমা তার কন্যাকে হত্যা করে থাকতে পারে।

পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় অণিমা জানিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে সে তার কন্যাকে পুকুরে ফেলে দিয়ে এসেছিল। বাড়িতে স্বামী এবং শাশুড়ি থাকলেও তাঁরা ঘটনাটি টের পাননি। মঙ্গলবার সকালে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির দেহ। অণিমার শাশুড়ি লক্ষ্মী মাকুড় বলেন, ‘‘আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটার অসুখ ছিল। হাসপাতালে ভর্তি ছিল। বৌমা যে রাত্রে কী করেছে তা বুঝতে পারিনি। সকালে বাচ্চাটাকে পুকুরে ভাসতে দেখা যায়। তার পরে দেহ তুলে আনা হয়েছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mother questioned Child murder Taldangra Bankura
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE