ভরসন্ধ্যায় জোড়া খুনের পরে কেটে গিয়েছে গোটা সপ্তাহ। এই ক’দিনে দুই বোনের মা, কাকা, মামা, গৃহশিক্ষক থেকে শুরু করে গুরুমা-সহ এক ডজন সন্দেহভাজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। মামা রামপ্রসাদ সাহাকে গ্রেফতারও করেছে। তারপরেও স্পষ্ট হয়নি খুনের কারণ! আর ঠিক সেখানেই দানা বেঁধেছে কৌতূহল। চায়ের দোকান থেকে বাসস্ট্যান্ড, পথচলতি পরিচিত মানুষ একে অপরকে দেখলেই ছুড়ে দিতে দেখা গিয়েছে প্রশ্নটা— ‘‘খুনটা করল কে? কেনইবা জোড়া খুন?’’
অনেকের মতে, সেই চর্চাকে ইন্ধন দিচ্ছে পুলিশের নীরবতা। কোন পথে তদন্ত চলছে, পুলিশের বড়কর্তাদের কেউই সে বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলতে চাইছেন না। তবে পুলিশের একটি মহলের গোড়া থেকেই সন্দেহ চেনা কেউ-ই মেরেছে দুই বোনকে। খুনের অভিযোগে মামাকে গ্রেফতারের পরে চর্চাও বইছে সেই খাতে। বীরভূমের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের রামপ্রসাদকে গ্রেফতারের পরে দাবি করেছিলেন , ‘‘খুনের নেপথ্যে আছে সম্পত্তির বিবাদ।’’ যদিও ভাগ্নিদের সম্পত্তির জন্য মামা কেন খুন করবেন, তার সদুত্তর মেলেনি।
বৃহস্পতিবার মহম্মদবাজারের পানাগড়-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বাসস্টপ লাগোয়া বাড়িতে গলা কেটে খুন করা হয় সুস্মিতা (১৫) ও পুষ্পিতাকে (১৩)। তাদের মা অপর্ণা সাধুর দাবি, ঘটনার সময় তিনি পাশের গ্রামে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন, রক্তে ভেসে যাচ্ছে ছোট মেয়ের দেহ। তিনি ফোন করে ডাকেন ভাই রামপ্রসাদকে। তিনি এসে খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন দোতলায় যাওয়ার সিঁড়িতে পড়ে রয়েছে বড় ভাগ্নির দেহ। তার গলায় তখনও আটকে ছিল বঁটি। মঙ্গলবার পর্যন্তও থানায় গিয়ে দেখা গেল গেটের সামনে তালা লাগানো। কোন কাজে, কেন আসা— সে প্রশ্নের উত্তর দিলে তবেই মিলছে থানার ভিতরে ঢোকার ছাড়পত্র। এই থানার লক-আপেই গত ছ’দিন ধরে আটক রাখা হয়েছে দুই বোনের মা অপর্ণাদেবীকে। জেরা করা হয়েছে অন্যদেরও। তবে বুধবার নতুন করে কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। ‘তদন্ত চলছে’, এই মন্তব্যটুকু ছা়ড়া আর ভেঙে বলতে চাননি পুলিশের কেউই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy