নাকড়াকোন্দা গ্রাম পঞ্চায়েত। —ছবি : সংগৃহীত
গত অর্থবর্ষে নিজস্ব তহবিল উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করার জন্য বীরভূম জেলার এক মাত্র গ্রাম পঞ্চয়েত হিসাবে পুরস্কৃত হচ্ছে খয়রাশোল ব্লকের নাকড়াকোন্দা।
আজ, মঙ্গলবার কলকাতার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে বিভাগীয় মন্ত্রী ও সচিবের থেকে পুরস্কার নেবেন নাকড়াকোন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রাবণী বাগদি। জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে সে কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব অনামিকা মজুমদার। পঞ্চায়েতের ভূমিকতায় খুশি জেলা প্রশাসনও।
প্রসঙ্গত পরিষেবা, সরকারি অর্থ কাজে লাগানো, নিজস্ব তহবিল বৃদ্ধি-সহ মোট ১০টি মানদণ্ডে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি কেমন কাজ করেছে গত অর্থবর্ষে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধাঁচে তা জেলা প্রশাসনগুলির কাছে জানতে চেয়েছিল নবান্ন। গত বছর ডিসেম্বরে তার ফল প্রকাশের পর দেখা যায় বীরভূমের ১৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৪৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত অকৃতকার্য হয়েছে। যে ফল গতবারের তুলয়ায় খারাপ। তার মধ্যেই সুখবর দিল নাকড়াকোন্দা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে-সব গ্রাম পঞ্চায়েত নবান্নের পরীক্ষায় পাশ করেছিল, সেগুলির মধ্যে আবার বিভিন্ন মানদণ্ডে যে পঞ্চায়েতগুলি সেরা, রাজ্য জুড়ে তেমন বেশ কিছু পঞ্চায়েতও আজ পুরস্কার পাবে। সেগুলির মধ্যেই নিজস্ব তহবিল ৭২৫ শতাংশ বাড়িয়ে নজর কেড়েছে নাকড়াকোন্দা। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলছেন, ‘‘গত অর্থবর্ষের তুলনায় এক ধাক্কায় নিজস্ব তহবিল এতটা বাড়ানো যথেষ্ট কৃতিত্বের।’’
কী ভাবে এল সাফল্য?
পঞ্চায়েত প্রধান শ্রাবণী বাগদি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের আয় বাড়ানোর জন্য সম্ভাব্য যে যে দিকগুলিতে নজর দেওয়ার প্রয়োজন ছিল, সেটা দেওয়া হয়েছিল। সম্মীলিত প্রচেষ্টা ছিল।পুরস্কার পাওয়ার খবরে আমরা গর্বিত।’’ জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, ‘‘ভাল খবর। স্বাবলম্বনের থেকে বড় অবলম্বন আর কিছুই হতে পারে না। সেই জন্য অভিনন্দন ওই পঞ্চায়েতকে। জেলার বাকি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকেও বলব, যাতে নিজস্ব তহবিল বাড়ানোর দিকে নজর রাখে। ওই পঞ্চায়েত বাকিদের কাছে অনুপ্রেরণা হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy