দিনভর চেষ্টা চালিয়েও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কয়লাখনি থেকে কাউকে উদ্ধার করতে পারল না। শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া ব্লকের রানিপুরে ইসিএলএ-এর পরিত্যক্ত খনিতে এক যুবতী ঝাঁপ দেন বলে খবর চাউর হয়। তার পর থেকে টানা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। রবিবার ভোর ৬টা থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের কুড়ি জন জওয়ান। দুপরে খনির মধ্যে ডুবুরি নামানো হয়। কিছুক্ষণ পরে অসুস্থ হয়ে তিনি উঠে আসেন। খনির ভিতরে যে ভাবে বিষাক্ত গ্যাস জমে রয়েছে, তার মধ্যে কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে করছে এনডিআরএফ।
রানিপুর গ্রামের প্রান্তে ইসিএলের পরিত্যক্ত কয়লাখনিটি রয়েছে। ওই গ্রামেরই বছর বাইশের যুবতী সুস্মিতা গোপ। আগামী মার্চে তাঁর বিয়ের কথা হয়েছিল। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সুস্মিতা। তার পরে এক জন নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করে জানান, তিনি ওই যুবতীকে খনির ভিতরে ঝাঁপ দিতে দেখেছেন।
খবর পেয়েই উদ্ধারের কাজে তৎপর হয় প্রশাসন। প্রথমে পাঠানো হয় সিভিল ডিফেন্সকে। তারা ব্যর্থ হওয়ার পরে দুর্গাপুর থেকে আসে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তারাও না পারায় মহকুমাশাসক (রঘুনাথপুর) আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর উদ্যোগী হয়ে উদ্ধার কাজে এনডিআরএফকে আনান। শনিবার রাতে নদীয়ার হরিণঘাটা থেকে এনডিআরএফের দলটি পৌঁছয় নিতুড়িয়ায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঠিক হয়, রবিবার সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হবে।