নেপাল মাহাতো।
কুড়মালি ভাষার সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে বিধানসভায় সরব হলেন বাঘমুণ্ডির বিধায়ক তথা পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। সম্প্রতি বিধানসভায় তিনি এই দাবি তোলেন।
নেপালবাবুর দাবি, ‘‘রাজ্য সরকার কুরুক ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমি, অসিত মিত্র ও সুদীপ মুখোপাধ্যায় বিধানসভায় সংশোধনী এনেছিলাম যে কুরুক ভাষার পাশাপাশি কুড়মালি ভাষাকেও সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক।’’ তিনি জানান, কুরুক ভাষা উত্তরবঙ্গের একটি অঞ্চলের কথ্য ভাষা। এই ভাষাটিকে স্বীকৃতি দেওয়াকে তাঁরা স্বাগত জানাচ্ছেন। কিন্ত কুড়মালি ভাষায় পুরুলিয়ার বহু ব্লকের মানুষ কথা বলেন। সে কারণে এই ভাষাকেও স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
নেপালবাবুর দাবি, কোনও মহকুমা এলাকার দশ শতাংশ মানুষ যদি কোনও ভাষায় কথা বলেন, তাহলে সেই ভাষাটিকে রাজ্য সরকার সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এ ছাড়া, পুরুলিয়ার দু’টি কলেজে কুড়মালি ভাষা পড়ানো হচ্ছে। তাই কুরুকের সঙ্গে কুড়মালি ভাষাটিকেও স্বীকৃতির দাবি তোলেন তাঁরা। নেপালবাবুর দাবি, ‘‘বিধানসভায় আমাদের এই সংশোধনী প্রস্তাব খারিজ হয়ে গিয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে নেপালবাবুর মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জেলায় এসে কুড়মি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গড়ার কথা বলেছেন। বলেছেন কুড়মি সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতি হিসেবে ঘোষণা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্য সরকার সুপারিশ করেছে। তাহলে কুড়মালি ভাষাকে রাজ্য সরকারের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অসুবিধে কোথায়?’’
সে দিন বিধানসভায় ছিলেন পুরুলিয়ার জয়পুরের তৃণমূল বিধায়ক শক্তিপদ মাহাতো। পরে তিনি বলেন, ‘‘উনি ঠিকই বলেছেন। কুড়মালি ভাষায় শুধু কুড়মিরাই যে কথা বলেন তা নয়, অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও কুড়মালিতে কথা বলেন।’’ তবে এই সংশোধনী প্রস্তাব বিধানসভায় খারিজ হয়ে যাওয়া সম্পর্কে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বলরামপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘‘সংশোধনী প্রস্তাব আনলেই তো হয় না, এ প্রসঙ্গে সেটি কতটা তথ্যসমৃদ্ধ তাও বিবেচ্য। এই ভাষাটি পুরনো নিঃসন্দেহে। তবে এ নিয়ে এখনও তেমন ভাবে গবেষণার কাজ হয়নি। আরও কাজ হওয়া দরকার। তাছাড়া বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy