আঙুল ছুইয়ে। সিউড়িতে তোলা নিজস্ব চিত্র।
দিন গেল হাজিরা খাতার। শুরু হল বায়োমট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কর্মীদের হাজিরার রেকর্ড রাখতে সোমবার থেকে এমনই ব্যবস্থা চালু হল জেলা প্রশাসন ভবনে। অ্যাটেন্ডান্স রেজিস্টারের জায়গায় এ বার কম্পিউটার চালিত স্ক্রিনে নিজেদের বুড়ো আঙুল ঠেকিয়েই উপস্থিতি জানান দেবেন প্রশাসনিক ভবনে কর্মরত বিভিন্ন দফতরের শ’ পাঁচেক কর্মী এবং আধিকারিকগণ। বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময়েও একই পদ্ধতি অনুসরণ করবেন সকলে। জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বলেন, ‘‘নতুন এই পদ্ধতিতে কোনও কর্মী বা আধিকারিক কখন অফিসে এলেন, কখন ফিরলেন— সেই হিসেব সহজেই মিলবে। গোটা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এবং কাজে গতি আসবে।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই প্রযুক্তিগত হাজিরা পদ্ধতি শুরুর জন্য আগে থেকেই সকলের নাম, দফতর, পদ এবং আঙুলছাপ কম্পিউটারে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এর পরে প্রশাসনিক ভবনের মূল প্রবেশ পথ এবং বিভিন্ন তলা ও দফতর মিলিয়ে মোট ৮টি বায়োমট্রিক যন্ত্র বসানো হয়েছে। এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী নতুন এই ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। জেলাশাসক জানান, একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় রামপুরহাটে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে এমন পদ্ধতি আগেই চালু হয়েছে। কিন্তু, কর্মীদের হাজিরার তথ্য ধরে রাখতে সরকারি উদ্যোগে জেলায় এটি ‘পাইলট প্রজেক্ট’। পরবর্তী ধাপে জেলা প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন অন্যান্য কার্যালয় যেমন আফগারি, ভূমি এবং জেলা পরিষদেও এই বায়োমট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা চালু হবে। একই ব্যবস্থা চালু হবে বোলপুর মহকুমা কার্যালয়েও।
যদিও সঙ্গত ভাবেই একটা প্রশ্ন উঠেছে, আঙুল ছুইয়ে না হয় এক জন কর্মী বা আধিকারিকের উপস্থিতি বা বাড়ি ফেরার তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হল। কিন্তু, তিনি আদৌ নিজের চেয়ারে থাকছেন কিনা বা দায়িত্ব পালন করছেন কিনা, সেটা কে দেখবে? জেলাশাসকের জবাব, ‘‘এখনও সেটা মনিটার করার ব্যবস্থা নেই। কিন্তু, অচিরেই তেমন ব্যবস্থাও গড়া হবে।’’ এ দিকে, সিউড়িতে এর আগে সদর হাসপাতালেও প্রযুক্তি সহায়ক হাজিরা পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। কিন্তু, কিছু দিনের মধ্যেই সেই যন্ত্র বিকল হয়েছে। এখানে তেমন সম্ভবনা নেই তো? জেলাশাসক জানান, সিউড়ি হাসপাতালে কী হয়েছে, খবর নেব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy