বোলপুরের যানজট কাটাতে হবে আন্তর্জাতিক মানের বাস টার্মিনাস।
রাইপুর-সুপুর পঞ্চায়েত দফতরের সামনে, দশ একর জায়গায় গড়ে উঠবে ওই আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাস। সোমবার বোলপুরে এসডিও অফিসে হয়ে গেল তা নিয়ে একটি বৈঠক। এ দিনই জমি ঘুরে দেখলেন পরিবহণ দফতরের বিশেষ সচিব, জেলার সভাধিপতি-সহ পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। সব ঠিকঠাক থাকলে, আগামী বছরের গোড়াতেই কাজ শুরু হয়ে যাওয়ার কথা।
বোলপুর শহরের দিন দিন পরিধি বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানবাহন ও জনসংখ্যা। স্বাভাবিক কারণে বাড়ছে যানজট। ফলে শহর বোলপুর-শান্তিনিকেতনের বাসিন্দাদের পাশাপাশি এখানে আশা দেশি বিদেশী পর্যটকেরা ফি দিন কাহিল হন যানজটে। শহরের যানজট নিরসন করার পাশাপাশি সার্বিক পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে সংশ্লিষ্ট সবপক্ষ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বোলপুর শান্তিনিকেতনকে ঢেলে সাজানোর জন্য নানা পরিকল্পনা নিয়ে আওচনা হয়েছে বিস্তর। রাজ্য পরিবহন দফতরের বিশেষ সচিব বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসন এখানে একটি অত্যাধুনিক বাস টার্মিনাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের ওই প্রস্তাবে রাজ্য পরিবহন দফতরের মন্ত্রী সম্মতি জানিয়েছেন। তা নিয়ে সোমবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত বৈঠকে, আন্তর্জাতিক মানের বাস টার্মিনাস নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। এ দিনই ওই জায়গা পরিদর্শন আমরা করেছি। বিস্তারিত প্রকল্পের রিপোর্ট ( ডিপিআর) জেলা প্রশাসনকে জমা দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে, অর্থ বরাদ্দ করবে দফতর।”
জেলা ও প্রতিবেশী রাজ্যে যাওয়ার জন্য বাসযাত্রীরা নির্ভরশীল বোলপুরের জামবুনী বাসস্ট্যান্ডের ওপর। সেই অর্থে চালক, খালাসি এবং বাস যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয়ও ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগ ছিল দীর্ঘ দিনের। বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী জানান, শহরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি যানবাহন বাড়ছে। একই ভাবে শহরের ফি দিনের যানজট সমস্যা নিয়ে ভোগান্তি সমানে চলছে। তাই বোলপুরের জামবুনি বাসস্ট্যান্ডকে রাইপুর-সুপুর পঞ্চায়েত দফতরের সামনে চন্দনপুর মৌজায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই এলাকায় দশ একর জমির ওপর আন্তর্জাতিক মানের বাস টার্মিনাস গড়ে উঠবে। থাকবে অত্যাধুনিক এবং প্রয়োজনীয়ও সমস্ত সুবিধা সুযোগ। সোমবারের ওই বৈঠক এবং সাইট পরিদর্শনে হাজির ছিলেন ডিএলআরও নীল কমল বিশ্বাস, বোলপুরের পুরপ্রধান সুশান্ত ভকত, জেলা পরিবহন দফতর ও বোলপুর মহকুমা পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।