E-Paper

অতিথিদের পথ চেয়ে জঙ্গলমহলের জোড়া পর্যটন কেন্দ্র

কয়েক বছর আগে দুয়ারসিনি প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্র, কেশরা মাটির সৃষ্টি ও টটকো জলাধারের কটেজ চালু করেছে প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:৫০
ঝাড়খণ্ডের পাহাড়ের পাশে থরকাদহ গ্রামের অদূরে তৈরি হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র।

ঝাড়খণ্ডের পাহাড়ের পাশে থরকাদহ গ্রামের অদূরে তৈরি হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র। ছবি- নিজস্ব চিত্র।

পর্যটকদের কথা ভেবে আরও চালু হচ্ছে দু’টি নতুন পর্যটন কেন্দ্র। বান্দোয়ানের দুয়ারসিনির কাছে থরকাদহ ও পপরোকোচায় তৈরি হয়েছে কেন্দ্র দু’টি। খুব শীঘ্রই সেগুলির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। তবে ইতিমধ্যেই পর্যটকদের আসা-যাওয়াসেখানে শুরু হয়েছে।

শীতে পুরুলিয়া জেলার অযোধ্যা পাহাড়, মুরগুমা, গড়পঞ্চকোট ছাড়াও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে বান্দোয়ানেও ভিড় জমান পর্যটকেরা। তবে রাত্রিবাসের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ফিরে যেতে হত পর্যটকদের।

কয়েক বছর আগে দুয়ারসিনি প্রকৃতি ভ্রমণ কেন্দ্র, কেশরা মাটির সৃষ্টি ও টটকো জলাধারের কটেজ চালু করেছে প্রশাসন। থাকার ব্যবস্থা আরও বাড়াতে বছর চারেক আগে বান্দোয়ানের থরকাদহ গ্রামের কাছে ঝাড়খণ্ড সীমানা ঘেঁষা একটি পাহাড়ের পাশে পঞ্চায়েত সমিতির অর্থে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার কাজ শুরু হয়। করোনা অতিমারির সময় যা থমকে যায়। তবে ফের কাজ শুরু হওয়ায় তা এগিয়েছে দ্রুত গতিতে। ইতিমধ্যেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে তিনটি কটেজের। সেখানে রয়েছে অত্যাধুনিক শৌচালয়, ক্যান্টিনও। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, দরপত্র ডেকে একটি সংস্থাকে সেগুলির লিজ় দেওয়া হয়েছে।

এই পর্যটন কেন্দ্রটি থেকে ঝাড়খণ্ডের দলমা রেঞ্জের সারি সারি পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকেরা। জানলা খুললে ভেসে আসবে অজানা পাখির ডাক। নজরে আসতে পারে শেয়াল, খরগোশ, দলমার দাঁতাল হাতি-সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী।

অন্য দিকে, পপরোকোচাতে একটি দিঘির পাশে দু’টি কটেজ তৈরি করা হয়েছে। মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের পাশে জমি লিজ় নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কটেজ তৈরি করেছে একটি সংস্থা। থাকবে তাঁবুর ব্যবস্থাও। দিঘির জলে নৌকাবিহার চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে প্রশাসনের।

প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয়েরা। তাঁদের দাবি, অযোধ্যা পাহাড়কে ঘিরে যে ভাবে পর্যটকদের টানতে প্রশাসন এতদিন উদ্যোগী ছিল, তেমনটা বান্দোয়ানের জন্য হয়নি। এ বার প্রশাসন সেই উদ্যোগ নিয়েছে। পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লে স্থানীয় অর্থনীতিতেও তার ভাল প্রভাব পড়বে। বিডিও (বান্দোয়ান) রুদ্রাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দু’টি পর্যটনকেন্দ্রের কাজ প্রায় শেষের মুখে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সময়ের অপেক্ষা।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

jangalmahal Banduan

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy