ডেউচা পাঁচামিতে প্রস্তাবিত কয়লা খনি অঞ্চলের প্রেক্ষিতে সরব ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কাউন্সিল (এনএফআইটিইউসি)। এই প্রসঙ্গে এনএফআইটিইউসি মঙ্গলবার ১০ দফা দাবি জানিয়ে বীরভূমের জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি জমা দিল। তবে জেলাশাসক উপস্থিত না থাকায় অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে এই স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ডেউচা পাঁচামির স্থানীয়দের জন্যে যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে সেই প্যাকেজের পর্যালোচনা করতে হবে বলেও এনএফআইটিইউসি সংগঠনের কর্মীদের দাবি। এই প্যাকেজের সমস্ত কিছু মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলেও তাঁদের অভিযোগ। তাঁরা জানিয়েছেন, এই নিয়ে তাঁরা স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেছেন। এ ছাড়াও বাকি দাবিদাওয়াগুলির মধ্যে উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দাদের সঠিক ভাবে শিক্ষাদান-সহ অন্যান্য পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে এনএফআইটিইউসি–র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ রায় বলেন, ‘‘প্রস্তাবিত কয়লা খনি অঞ্চল নিয়ে আমাদের নিজস্ব বক্তব্য আছে। আমরাও এই এলাকার মানুষদের জন্য কাজ করছি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে যে সমস্যাগুলি সামনে আসছে সেই গুলি নিয়েই আমরা স্মারকলিপি জমা করেছি।’’
তিনি আরও জানান যে, অতিরিক্ত জেলাশাসক নীতু শুক্ল তাঁদের কথা শুনেছেন এবং এই নিয়ে জেল শাসকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
পাশাপাশি রাজ্যের স্বরোজগার নিগম লিমিটেডের চেয়ারম্যান পদে বসেছেন অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার প্রথমবারের জন্য বোর্ড মেম্বারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বোলপুর সার্কিট হাউসে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
এই প্রথম বৈঠকেই উঠে আসে ডেউচা পাঁচামি এলাকার আদিবাসীদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি। বৈঠকে, আদিবাসীদের স্বনির্ভর করতে কী কী প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে অনুব্রত বলেন, ‘‘ডেউচার আদিবাসী এলাকার মানুষদের কী ভাবে স্বনির্ভর করে তোলা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের মোটর চালানো শেখার প্রশিক্ষণের বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। কয়লার শিল্প হলে বীরভূমের পাশাপাশি রাজ্যের মানুষও উপকৃত হবেন।’’
এদিন বৈঠকে অনুব্রত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ভরত কল-সহ স্বরোজগার নিগম লিমিটেডের অন্য সদস্যরা।