Advertisement
E-Paper

প্রেমিকের হাতে খুন মহিলা ও দুই সন্তান! ঘটনার পরেই বীরভূম পুলিশে রদবদল! মহম্মদবাজারে নয়া ওসি

মহম্মদবাজার থানার ম্যানেজার পাড়ায় বাড়ি থেকে জনৈকা লক্ষ্মী মাডডি এবং তাঁর দুই সন্তানের দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তিন জনকেই খুন করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:১৯

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বীরভূমের জেলা পুলিশে রদবদল হল শুক্রবার। শুক্রবারই মহম্মদবাজার থানা এলাকায় এক মা এবং দুই সন্তানের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। ওই ঘটনার পরে রামপুরহাট থানার ওসি-র দায়িত্ব থেকে সরানো হল অরূপকুমার দত্তকে। তিনি বীরভূম জেলা এনফোর্সমেন্ট শাখায় কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার তাঁকে শুধু সেখানকারই দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। অন্য দিকে, রামপুরহাট ট্র্যাফিক গার্ডের ইনস্পেক্টর টপাই বিশ্বাসকে মহম্মদবাজার থানার ওসি-র অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার মহম্মদবাজার থানার ম্যানেজার পাড়ায় এক মহিলা এবং তাঁর দুই নাবালক শিশুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে। তার মধ্যেই ওসি বদলের ঘটনা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। যদিও জেলা পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ওই খুনের ঘটনার সঙ্গে বদলির সম্পর্ক নেই। উদাহরণ হিসাবে নীতু সিংহের কথা বলা হয়েছে। নীতু বোলপুর মহিলা থানার আইসি ছিলেন। তাঁকে নানুর থানার অতিরিক্ত ওসি-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ম্যানেজার পাড়ায় বাড়ি থেকে জনৈকা লক্ষ্মী মাডডি এবং তাঁর দুই সন্তানের দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তিন জনকেই খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নয়ন বিত্তার নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতার স্বামী লালু মাডডি কাজের সূত্রে বাইরে থাকতেন। অন্য দিকে, লক্ষ্মীর সঙ্গে মল্লারপুর থানার বাসিন্দা নয়নের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সম্পর্কের জটিলতা থেকে প্রেমিকা এবং তাঁর দুই সন্তানকে নয়ন খুন করেন বলে মনে করছে পুলিশ। অভিযুক্তকে গা-ঢাকা দিতে সাহায্য করার অভিযোগে সুনীল মিদ্দা নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি মল্লারপুর থানা এলাকার বাসিন্দা।

এ ছাড়াও তিন জনকে খুনের ঘটনায় আরও দুই সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মৃতার মোবাইল ফোন থেকেও বিভিন্ন তথ্য উদ্ধারের চেষ্টায় পুলিশ। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, ধৃতদের লক্ষ্মীর সঙ্গে নয়নের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের একটি তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তিনিই তিন জনকে খুন করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। খুনের পর নয়নকে আশ্রয় দেন সুনীল নামে এক যুবক। তাঁদের দু’জনকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও দু’জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের তরফে আট জনের একটি দল তৈরি করে এই খুনের তদন্ত করা হচ্ছে। নয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে তিনি লক্ষ্মীর বাড়ি গিয়েছিলেন।

Murder Case arrest mohammadbazar Birbhum Birbhum District Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy