সুনীল সোরেনকে পাশে নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
ডেউচা-পাচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে কোমর বাঁধছে তৃণমূল। এই আবহে কিছুটা চমক দিয়েই সোমবার তৃণমূলে যোগ দিলেন এক কালের বিজেপি ঘনিষ্ঠ আদিবাসী গাঁওতা নেতা সুনীল সোরেন। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দেন সুনীল। ডেউচা-পাচামি পর্বে সুনীলের তৃণমূলে যোগদান অনুব্রতর কৌশল বলেই মনে করছে জোড়াফুল শিবির।
সোমবার সিউড়িতে তৃণমূল কার্যালয়ে সুনীল দলবদল করেন। বীরভূমে ডেউচা-পাচামি কয়লাখনি প্রকল্প পর্বে স্বাভাবিক ভাবেই সুনীলের তৃণমূলে যোগদান ভিন্ন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে। সুনীল অবশ্য বলছেন, ‘‘বীরভূমের অভিভাবক এবং উন্নয়নের কান্ডারি কেষ্ট’দা। তাঁর হাত ধরেই এই এলাকার উন্নয়ন সম্ভব। তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম। আমাদের দাবি ছিল, প্যাকেজের কথা প্রশাসন এলাকার মানুষকে লিখিত আকারে জানাক। প্রশাসন তা করেছে। সেটা নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা হচ্ছে। তার পর যা বার হবে তা জানাব।’’
বীরভূমের রাজনৈতিক মহলের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছে, সুনীলের তৃণমূলে যোগদান অস্বাভাবিক নয়। কারণ এর আগে ওই আদিবাসী নেতার কয়েক জন ঘনিষ্ঠ এক এক করে জোড়াফুল শিবিরে যোগদান করেছেন। সেই সময়েই সুনীলের দলবদলের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল বলে অনেকের ধারণা। ওই আদিবাসী নেতার ভূয়সী প্রশংসা করে অনুব্রত বলছেন, ‘‘সুনীলকে সকলে চেনে। সর্বত্র ওর একটা আধিপত্য আছে। এটা অস্বীকার করা যায় না। ওকে জেলা কমিটিতে আমরা একটা ভাল পদ দেব। যেটা খুব কাজে লাগবে। ও আসাতে বীরভূম জেলা ছাড়াও আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, ভাতার-সহ বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের লাভ হবে। এতে তৃণমূলের খুঁটি আরও জোরদার হল। ও আদিবাসীদের স্বার্থের বিষয়েসচেতন। সমাজসেবা করে।’’ প্রস্তাবিত কয়লাখনির প্যাকেজ সম্পর্কে অনুব্রতর মত, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা প্যাকেজ দিয়েছেন সেটা ওরা (সুনীল সোরেন) বুঝবে। মানুষকে বোঝাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৩ লক্ষ টাকা জমির দাম দিয়েছেন, ১ বছর বেতন দেবেন, চাকরি-সহ নানা সুবিধা দেবেন। আরও অনেক কিছু আছে। ও (সুনীল সোরেন) দলে এল। ওরও দায়িত্ব আছে। ও যেটা বুঝবে, সেটা করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy