Advertisement
০২ মে ২০২৪

নেতাকে খুনে ধৃত কর্মাধ্যক্ষ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলামবাজারের ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শুনবুনি গ্রামে মুরগির খাবার তৈরির কারখানার শ্রমিক ইউনিয়ন কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ চলছিল।

শুনবুনি বাসস্ট্যান্ডে। নিজস্ব চিত্র

শুনবুনি বাসস্ট্যান্ডে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইলামবাজার শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৩৪
Share: Save:

অভিযুক্তদের ধরার দাবিতে পথ অবরোধ, এক অভিযুক্তের বাড়িতে হামলা— তৃণমূলের শ্রমিক নেতা খুনের ঘটনায় শনিবার উত্তপ্ত হয়ে রইল ইলামবাজার।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেখ শামিউল্লাহ নামে ওই শ্রমিক নেতাকে কুপিয়ে খুন করা হয়। শুক্রবার নিহতের ছেলে মুকুল শেখ তৃণমূলের ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধক্ষ্য আব্দুল কালাম ওরফে খোকা-সহ দলের অন্য গোষ্ঠীর ১৫ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ২৮ ঘণ্টা পরেও কেন কাউকে গ্রেফতার করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলে শনিবার সকালে শুনবুনির কাছে ইলামবাজার-দুবরাজপুর রাস্তা অবরোধ করলেন তাঁর অনুগামীরা। প্রায় চার ঘণ্টা অবরোধ চলে। এলাকায় প্রবল যানজট হয়। পরে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার অম্লানকুসুম ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তিন দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে, এই আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তোলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলামবাজারের ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শুনবুনি গ্রামে মুরগির খাবার তৈরির কারখানার শ্রমিক ইউনিয়ন কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ চলছিল। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খুন হন ওই কারখানার তৃণমূলের শ্রমিক নেতা শেখ শামিউল্লাহ। এই ঘটনায় শুক্রবার নিহতের ছেলে মুকুল শেখ অন্য গোষ্ঠীর ১৫ জন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে ইলামবাজার থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু, ঘটনার পরে ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় এ দিন সকাল ৬ টা থেকে নিহতের অনুগামীরা রাস্তা অবরোধ শুরু করেন।

ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধক্ষ্য আব্দুল কালাম ওরফে খোকার ঘুড়িষ্যার বাড়িতে এ দিন চড়াও হন নিহত নেতার সমর্থকেরা। কর্মধক্ষ্যের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কর্মাধ্যক্ষকে উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে আটক করা হয়।

নিহতের ছেলে শেখ মুকুল বলেন, “অভিযুক্তরা পদে থাকায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এ দিন আমরা এক জনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। বাকি অভিযুক্তদের তিন দিনের মধ্যে গ্রেফতার করবে বলে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে। যদি সেটা না হয় তাহলে আমরা ফের আন্দোলনে নামব।”

এই ঘটনার ব্যাপারে মুখে কুপুল এঁটেছেন তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE