Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বাড়ির দেওয়াল ভেঙে জখম ১

গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে নির্মীয়মান বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে জখম হল সাত বছরের বালিকা। শনিবার সকালে রামপুরহাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালিশাড়া মাঠপাড়া এলাকার ঘটনা।

মায়ের সঙ্গে জখম নন্দিনী মাল। নিজস্ব চিত্র।

মায়ের সঙ্গে জখম নন্দিনী মাল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৬
Share: Save:

গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে নির্মীয়মান বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে জখম হল সাত বছরের বালিকা। শনিবার সকালে রামপুরহাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালিশাড়া মাঠপাড়া এলাকার ঘটনা। মাথায় ও হাতে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত নন্দিনী মাল নামে ওই বালিকাটি বর্তমানে রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কালিসাড়া মাঠপাড়ায় নির্মীয়মান বাড়িটি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্বপন মালের নামে তৈরি হচ্ছিল। সেক্ষেত্রে স্বপন মালের বাড়ি কীভাবে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে হচ্ছিল তার জবাব দিতে পারেনি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলর প্রিয়নাথ সাউ। প্রিয়নাথবাবু বলেন, ‘‘আমার ওয়ার্ডে বাড়িটি নির্মাণ যে হচ্ছে তা আমার জানা ছিল না। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জখম বালিকাটিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।”

উপ-পুরপ্রধান সুকান্ত সরকার বলেন, ‘‘ঘটনার কথা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’ এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিম্ন মালের উপকরণের জন্য দুর্ঘটনা ঘটেছে। জখম বালিকার বাবা মিলন মালের দাবি, ‘‘ঘটনার সময় আমি আমার স্ত্রী, ছেলে কেউ বাড়িতে ছিলাম না। মেয়ে একা বাড়িতে ছিল। ঘটনার খবর পেয়ে দেখি যেভাবে বাড়িটির দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়েছে তাতে আরও দু’জন জখম হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।’’

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অপূর্ব পান্ডে বলেন, ‘‘গতকাল বাড়িটির ভিতরের অংশের দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে। নির্মীয়মান বাড়িতে খেলাধূলা করার সময় দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়ে।” নিম্নমালের উপকরণ দিয়ে বাড়ি তৈরি করার অভিযোগ ঠিক নয় দাবি ঠিকাদারের। এদিকে পুরসভার বিরোধী দলনেতা শুভাশিস চৌধুরী জানান, প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Child Wounded Wall collapse
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE