Advertisement
E-Paper

ফ্লেক্সে ‘আমরা-ওরা’, সরব বিরোধীরা

ছবি দেওয়া ফ্লেক্স, পোস্টার সরকারি দেওয়ালের গা থেকে সরানো নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। কংগ্রেস, সিপিএম বা বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, বিরোধীদের ফ্লেক্স, পোস্টার সরাতে বীরভূম জেলা প্রশাসন যতটা আগ্রহী, শাসকদলের ক্ষেত্রে ততটা তৎপর নয়। এ নিয়ে কমিশনেও অভিযোগ জানাতে চলেছেন সিপিএম নেতৃত্ব।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৬ ০১:৫৫
 —নিজস্ব চিত্র

—নিজস্ব চিত্র

ছবি দেওয়া ফ্লেক্স, পোস্টার সরকারি দেওয়ালের গা থেকে সরানো নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। কংগ্রেস, সিপিএম বা বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, বিরোধীদের ফ্লেক্স, পোস্টার সরাতে বীরভূম জেলা প্রশাসন যতটা আগ্রহী, শাসকদলের ক্ষেত্রে ততটা তৎপর নয়। এ নিয়ে কমিশনেও অভিযোগ জানাতে চলেছেন সিপিএম নেতৃত্ব।

কমিশনের তরফে বারেবারেই বলা হচ্ছে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠলে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক কিংবা পুলিশ সুপারকে জবাবদিহি চাওয়ার কথাও স্পষ্ট করে কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও এমন অভিযোগ ওঠায় প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা।

‘‘বাংলার উন্নয়নের ধারাকে বজায় রাখতে এবং ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দিতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়ী করুন’’ — এই মর্মে প্রচার-ফ্লেক্স বুধবারও দেখা গিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির রামপুরহাট গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে। তাতে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি!

শুধু বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির রামপুরহাট কেন্দ্র নয়, শহরের পাঁচ মাথা মোড়ে দুপুর পর্যন্ত দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি-সহ রামপুরহাট মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের উদ্বোধনের ফ্লেক্স। ব্যাঙ্ক রোডেও দেখা মিলেছে এমন ফ্লেক্সের।

বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, নির্বাচনী বিধি লাগু হওয়ায় যে কোনও রকম প্রচার, প্রতিশ্রুতি কমিশনের নিয়মে নিয়মবিরুদ্ধ। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ জানান, সরকারি অফিসের দেওয়ালে ভোটের প্রচার নির্বাচন কমিশনের নিয়মে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের আওতায় পড়ে। দলের তরফে এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করব।

বিজেপি-র জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘প্রশাসন দলীয় পতাকা, ফেস্টুন, ফ্লেক্স খুলে নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। বিরোধীদের বেলায় বেছে বেছে খুলেও দিচ্ছে। আর হাতগুটিয়ে রয়েছে তৃণমূলের বেলায়। একে পক্ষপাত ছাড়া আর কী বলব?’’ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি মনে করেন, এ বিষয়ে প্রশাসনের সতর্ক হওয়া জরুরি।

কেন নিজেরা খুলে নিচ্ছেন না? রামপুরহাট বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন তেমনটা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, ‘‘নির্বাচনের কমিশনের নিয়ম জানা রয়েছে। তাদের নির্দেশ যথাযথ ভাবে পালন করা হবে।’’

বিরোধীদের তোলা এই পক্ষপাতের অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি রামপুরহাট বিধানসভার রিটার্নিং অফিসার তথা মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস। তিনি বলেন, ‘‘এলাকার বিভিন্ন সরকারি অফিস থেকে ফ্লাগ ফেস্টুন সরানোর কাজ চলছে। সুনির্দিষ্ট ভাবে কেউ অভিযোগ করলে আইন মতো ব্যবস্থা নেব।’’

এখনও পর্যন্ত কোনও দলের তরফে অভিযোগ পাননি বলেও তিনি দাবি করেছেন।

opposition administration election assembly election 2016
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy