তৃণমূল পরিচালিত সাহাপুর পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে আর্থিক তছরুপের তদন্তের দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী ছয় পঞ্চায়েত সদস্য। সোমবার দুপুরে ই-মেল করে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ পাঠানো হয়। অভিযোগের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে সভাধিপতি, জেলাশাসক, একশো দিনের প্রকল্পের জেলা নোডাল অফিসার, পঞ্চায়েত মন্ত্রী-সহ রামপুরহাটের মহকুমাশাসকের কাছেও।
সাহাপুর পঞ্চায়েতটি তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের অধীন। পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা ফরওয়ার্ড ব্লক দলের দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন উপপ্রধান কংগ্রেসের বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, সিপিএমের ইয়াসমিন খাতুন, বিজেপি-র সন্মানী কোনাই, ফরওয়ার্ড ব্লকের চিত্রজিত মণ্ডল ও মৃদুলা রজক ওই তদন্তের দাবি তুলেছেন। লিখিত আবেদনে তাঁরা জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত প্রধান এক শ্রেণির সরকারি আধিকারিকদের সহযোগিতায় কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদিত প্রকল্পের অর্থ তছরুপ করছেন।
কী কী ক্ষেত্রে তররুপ হয়েছে, তা-ও সবিস্তার জানিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগকারীরা জানাচ্ছেন, ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নম্বর সংসদে চণ্ডীপুর মৌজার ৬৬৯ দাগ নম্বরে তারাপীঠ মহাশ্মশানে ভূমি সংস্কার খাতে নামমাত্র কাজ না করে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে।
ওই কাজের জন্য রামপুরহাট ২ ব্লক থেকে ১৬ লক্ষ ৬০ হাজার ৮৯৬ টাকা বরাদ্দ করা হয় এবং সাহাপুর পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে ট্রাক্টরে মাটি তোলা ও জঞ্জাল ফেলার জন্য ৭ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা দেওয়া হয়। প্রাক্তন উপপ্রধান কংগ্রেসের বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, খাতায় কলমে যা দেখানো হয়েছে, আদৌ ততটা কাজ হয়নি। তদন্ত হলেই তা জানা যাবে। তাঁর কথায়, ‘‘স্থানীয় ভাবে অভিযোগ করেও সুরাহা না হওয়ায় আমরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছি।’’
সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান ভুবনচন্দ্র মণ্ডল কোনও অভিযোগই মানতে চাননি। তাঁর কথায়, ‘‘সব কাজই সরকারি নিয়ম মেনে হয়েছে।’’ রামপুরহাটের মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy