বাজ পড়ার পরেই ঝালদা থানার ছাদে গর্ত হয় বলে দাবি। নিজস্ব চিত্র
বাজ পড়ার পরে একটা রাত পার হয়ে গেলেও শুক্রবার সন্ধ্যার সেই ঘটনার আতঙ্ক যেন রয়ে গিয়েছে ঝালদা থানার পুলিশ কর্মীদের মধ্যে। শনিবার শহরেও তা নিয়ে আলোচন চলেছে। এ দিকে, বাজ পড়ায় থানার কম্পিউটার-সহ নানা সরঞ্জাম বিকল হয়ে পড়ায় কাজকর্মও ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ কর্মী ও সেই সময়ে বিভিন্ন কারণে থানায় যাওয়া লোকজনেরা জানান, শুক্রবার বিকাল থেকেই বৃষ্টি ও জোড়ে হাওয়া বইছিল। হঠাৎ সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ হঠাই দুড়ুম করে একটা শব্দ হয়। কেঁপে ওঠে থানা। চমকে ওঠেন পুলিশ কর্মীরা। ঝপ করে আলো নিভে যায়। ঘোর কাটিয়ে কী হয়েছে বুঝতেই পুলিশ কর্মীদের কিছু সময় পেরিয়ে যায়। পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে দুর্ভাবনায় পড়ে যান থানায় আসা সাধারণ মানুষও। আতঙ্কে অনেকে ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছিলেন। কোনও কোনও পুলিশকর্মী আবার অন্য বিপদের আশঙ্কা করে কাঁধে থাকা বন্দুক হাতে নিয়ে এদিক সেদিক উঁকিঝুঁকি মারতে শুরু করে দেন। তখনই পুলিশ কর্মীদের কেউ জানান— থানায় বাজ পড়েছে।
এ দিন সকালে শহরের বিভিন্ন মোড়ে ওই ঘটনা নিয়েই আলোচনা শোনা গিয়েছে। থানাতেও সেই এক কথা। পুলিশ কর্মীরা দাবি করেন, থানার ছাদে বাজ পড়ায় ঢালাই উঠে গিয়ে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বজ্রপাতের জেরে পুড়ে গিয়েছে থানার সমস্ত বৈদ্যুতিক তার। পুড়ে গিয়েছে টেলিভিশন থেকে বেশ কয়েকটি কম্পিউটার।
কয়েকজন পুলিশ কর্মী জানালেন, তাঁদের মোবাইলগুলো পর্যন্ত আর কাজ করছে না। থানায় থাকা বেশ কয়েকটি আলো নষ্ট হয়েছে। এমনকি যে যন্ত্র ছাড়া পুলিশের এক পা চলাও মুশকিল হয়ে যায়, সেই সাধের আরটি সেটটিও পুড়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘থানা এলাকার যেখানেই আমাদের পুলিশের গাড়ি থাক না কেন, ওই আরটি সেটের মাধ্যমেই থানার কন্ট্রোল রুম থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠানো হয়। ঘটনার পর সেই যন্ত্রটিই পুড়ে যাওয়ায় রাতভর ওই আরটি বাদ দিয়ে ডিউটি করতে হয়েছে পুলিশ কর্মীদের। ভরসা মোবাইল ফোন। তবে ওই যন্ত্রের গুরুত্বের কথা চিন্তা করে শনিবার সাতসকালেই সারিয়ে নেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy