Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
রামপুরহাট জেলা হাসপাতাল

এ বার রক্ষীর আঙুলে কামড়!

যত কাণ্ড রামপুরহাটে! এ বার হাসপাতালের এক নিরাপত্তারক্ষীর আঙুল কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালের ওই ঘটনায় শেষমেশ কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দিয়ে ছাড় পান অভিযুক্ত ব্যক্তি।

নিগৃহীত নিরাপত্তারক্ষী আব্দুল সালাম। —নিজস্ব চিত্র

নিগৃহীত নিরাপত্তারক্ষী আব্দুল সালাম। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৪৪
Share: Save:

যত কাণ্ড রামপুরহাটে!

এ বার হাসপাতালের এক নিরাপত্তারক্ষীর আঙুল কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালের ওই ঘটনায় শেষমেশ কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দিয়ে ছাড় পান অভিযুক্ত ব্যক্তি। আব্দুল সালাম নামে ওই বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী দিন তিনেক আগেও একবার রোগীর পরিজনদের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন।

রামপুরহাট জেলা হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরে পরপর চিকিৎসক-কর্মীদের উপরে নিগ্রহের জেরে নিরাপত্তা নিয়ে অতিরিক্ত সতর্ক হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা নিয়ে কড়াকড়ি দেখেই মাথা গরম করে এক রোগীর পরিজন ঘটনাটি ঘটিয়ে ফেলেন। হাসপাতালের বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী আব্দুল সালাম জানান, এ দিন সকালে জরুরি বিভাগের সামনের গেটে তাঁরা চার জন নিরাপত্তারক্ষী পাহারা দিচ্ছিলেন। সাড়ে ১০টা নাগাদ মাঝবয়সী এক ব্যক্তি এক জন মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে জরুরি বিভাগের গেট দিয়ে ঢুকে প্রসূতি বিভাগে যেতে চান। আব্দুল বলেন, ‘‘আমরা ওই ব্যক্তির কাছে গেট পাস দেখতে চাই। উনি একটি মাত্র গেট পাস দেখান। তা দিয়ে এক জনই ঢুকতে পারবেন বলে আমরা ওঁকে জানিয়ে দিই।’’ উপস্থিত অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীরা দাবি করেন, ঢুকতে বাধা পেয়ে ওই ব্যক্তি জোর জবরদস্তি শুরু করেন। আব্দুল তাঁকে ধরে ফেলেন। সে সময়ই ওই নিরাপত্তারক্ষীর বাঁ হাতের তর্জনীতে ওই ব্যক্তি কামড়ে দেয় বলে অভিযোগ। আব্দুলের কথায়, ‘‘কামড়ে দিতেই আঙুলের ক্ষতস্থান থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। জ্বালাও করে। উপস্থিত সহকর্মীরা ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে ওয়ার্ড মাস্টারের কাছে নিয়ে যান। তখন আমি ড্রেসিং করতে চলে যাই।’’

পরে নিরাপত্তারক্ষীদের চাপে পড়ে নলহাটি থানা এলাকার ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনার জন্য মুচলেকা লিখে ক্ষমা চেয়ে নেন। হাসপাতাল সুপার সুবোধকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘শুক্রবার প্রশাসনিক বৈঠকের পরে নিরাপত্তারক্ষীরা কঠোর ভাবে ডিউটি শুরু করেছেন। এ দিন ভিজিটিং আওয়ার্সের বাইরে রোগীর পরিজন হাসপাতালে ঢুকতে চাইছিলেন। তাতেই এক জন নিরাপত্তারক্ষীর আঙুল কামড়ে দেন বলে শুনেছি।’’ ওই ঘটনায় পুলিশে কোনও লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। সুপারের পরামর্শ, ‘‘সকলেরই হাসপাতালের নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলা উচিত। তাতেই সবার সুবিধা।’’

ডুবে মৃত্যু। নাতি নদীতে ড়ুবে যাচ্ছে ভেবে, তাকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হল ঠাকুমার। মৃতার নাম মিনতি দাস (৬৬)। বাড়ি বর্ধমান জেলার কালনার হাঁসপুকুরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বেলা ১০টা নাগাদ ভাগীরথীর ঘাটে স্নান করতে নামেন মিনতিদেবী। সেই সময় কাছেই তাঁর বছর দশেকের নাতি ডুব-সাঁতার দিতে দিতে স্নান করছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃদ্ধা ভাবেন নাতি হাবুডুবু খাচ্ছে জলে। নাতিকে পাড়ে তুলতে যান তিনি। সেই সময়েই কোনও ভাবে পায়ে কাপড় জড়়িয়ে নদীতে তলিয়ে যান মিনতিদেবী। খানিক বাদে অদূরেই বৃদ্ধার দেহ ভেসে ওঠে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Patient’s family Bite Security
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE