Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Patients

Khatra Mahakuma Hospital: শয্যার ‘আকাল’, মেঝেয় রোগীরা

প্রশাসন শয্যা-সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়নি, দাবি রোগী ও পরিজনদের বড় অংশের।

খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে।

খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
খাতড়া শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২১ ০৭:২৩
Share: Save:

শয্যা-সংখ্যা যা, গড়ে রোগী ভর্তি থাকেন তার দ্বিগুণেরও বেশি। সময়ে সময়ে তা আরও বাড়ে। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও বারান্দার মেঝেয় রোগীদের ঠাঁই নিতে হয় বলে অভিযোগ পরিজনদের। ছবিটা, বাঁকুড়ার খাতড়া মহকুমা হাসপাতালের। মহকুমা শহর-সহ জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের অন্যতম ভরসার জায়গা হলেও শয্যার অভাব বড় হয়ে উঠেছে। মহকুমা প্রশাসনের যদিও দাবি, বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরের নজরে আনা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সব বিভাগ মিলিয়ে এ মুহূর্তে শয্যার সংখ্যা ১০৬। তবে গড়ে রোগী ভর্তি থাকেন ২২০-২৫০ জন। গরমে সংখ্যাটা আরও বাড়ে। তখন ভরসা, হাসপাতালের বিভিন্ন ঘর ও বারান্দার মেঝে। বেশি সমস্যায় পড়েন গর্ভবতী, প্রসূতি ও শিশুরা।

হাসপাতালে মঙ্গলবার গিয়ে দেখা গেল, বয়স্ক থেকে শিশু, অনেকেই শয্যা না পেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বাইরের বারান্দায় মেঝেয় শুয়ে। কারও আবার স্যালাইন চলছে বারান্দাতেই। আইসোলেশন ওয়ার্ডের একটি ঘরে আবার দেখা গেল, প্রায় তিরিশ জন মা তাঁদের বাচ্চাদের নিয়ে মেঝেয় বসে, শুয়ে রয়েছেন।

এক মাসের ছেলেকে জ্বর-সর্দির সমস্যা নিয়ে সোমবার সকালে ভর্তি করিয়েছেন হিড়বাঁধের বেঞ্চাবনি গ্রামের জবা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “এ দিনও বেড পাইনি। এই শীতে ছোট বাচ্চাকে মেঝেয় রাখতে সমস্যা হচ্ছে।” রানিবাঁধের আটাশোল গ্রামের গৌরাঙ্গ মাজিও জানান, তিন মাসের নাতনিকে জ্বরের সমস্যা নিয়ে সোমবার ভর্তি করানো হলেও শয্যা পাননি। শয্যা না পেয়ে সমস্যা হচ্ছে, জানান রাইপুরের ভগড়া গ্রামের রুমা রায়, খাতড়ার রাজু নামাতাও। জেলার অন্য মহকুমায় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থাকলেও এখানে তা নেই। তার পরেও প্রশাসন শয্যা-সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়নি, দাবি রোগী ও পরিজনদের বড় অংশের।

হাসপাতাল সুপার রতন শাসমল জানান, সাধারণ (পুরুষ) বিভাগে ২০টি, সাধারণ (মহিলা) বিভাগে ২০টি, শিশু বিভাগে ১৬টি, গর্ভবতী ও প্রসূতি বিভাগে ২০টি, আইসোলেশনে ২৪টি ও এইচডিইউ বিভাগে ছ’টি শয্যা রয়েছে। প্রতি বিভাগে প্রয়োজনের তুলনায় শয্যা কম রয়েছে মেনে নিয়ে তিনি বলেন, “বেডের ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। একশো বেডের ‘প্রি-ফ্যাব’ ইউনিটের প্রস্তাব অনুমোদনও হয়েছে। তবে হাসপাতাল চত্বরে যে জমি চিহ্নিত হয়েছে, তার উপর দিয়ে হাইটেনশন লাইন গিয়েছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতর দেখছে।” হাসপাতালের শয্যা-সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে, জানান এসডিও (খাতড়া) মৈত্রী চক্রবর্তীও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Patients
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE