রক্তদাতা নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেখা গেল, ব্লাডব্যাঙ্কে তালা ঝুলছে। কর্মীরা এলেন প্রায় পৌনে ১০টা নাগাদ। এমনই অভিযোগ উঠল শুক্রবার রাতে, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাসপাতালে। এই ঘটনার জেরে সামনে এসেছে অন্য বেশ কিছু অভিযোগও। শনিবার বিষ্ণুপুর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার তড়িৎকান্তি পাল জানান, অভিযোগ পেয়ে ব্লাডব্যাঙ্কের মেডিক্যাল অফিসার রামপ্রসাদ মণ্ডলকে শো-কজ় করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধ্যায়। বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সোনামুখীর এক রোগিণী। তাঁর জন্য বি নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের দরকার পড়েছিল। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ রিকুইজ়িশন স্লিপ নিয়ে পরিজনেরা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে যান। তাঁদের রক্তদাতা জোগাড় করে আনতে বলা হয়। এমন ক্ষেত্রে ওই ‘স্লিপ’ ফেরত দিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরা তা রেখে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোগিণীর পরিজনেরা যোগাযোগ করেন রক্তদানের সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থার সঙ্গে। তাঁদের সদস্য সুশান্ত মালের সঙ্গে রক্তের গ্রুপ মিলে যায়। সুশান্ত হাসপাতালে আসেন পৌনে ৮টা নাগাদ। সংস্থার সদস্য দিল খান, প্রসেনজিৎ দত্তদের অভিযোগ, তখন তালা ঝুলছিল ব্লাড ব্যাঙ্কে। বাইরে কর্তব্যরত কর্মীর ফোন নম্বর লেখা ছিল। ডায়াল করে দেখা যায়, সেই নম্বর ভুল। জরুরি বিভাগ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের অফিস— নানা জায়গায় ঘুরেও কোনও দিশা মেলেনি।