Advertisement
E-Paper

পথ আগলে পুজোর গেট, জটে হয়রান 

বাঁকুড়া শহরের লালবাজার, রবীন্দ্রসরণি, সুভাষরোড, নতুনচটি-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাস্তার একাংশ জুড়ে বাঁশের তোরণ দেখা গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৯ ০০:০৯
জেরবার: বাঁকুড়া শহরের লালবাজারে শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

জেরবার: বাঁকুড়া শহরের লালবাজারে শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

পুজোর রেশ কাটিয়ে ফের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বাঁকুড়া। চেনা পথে আবার চেনা যানজট। সমস্যা আরও বেড়েছে বড় রাস্তা থেকে অলিগলি— বিভিন্ন এলাকায় পথ আগলে মণ্ডপ বা তোরণ থেকে যাওয়ায়। দেখা দিচ্ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও।

বাঁকুড়া শহরের লালবাজার, রবীন্দ্রসরণি, সুভাষরোড, নতুনচটি-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাস্তার একাংশ জুড়ে বাঁশের তোরণ দেখা গিয়েছে। শহরের ভিতরে লালবাজার হয়ে সেকেন্ড ফিডার রোড ধরে বাস ও বিভিন্ন ভারী যানবাহন চলাচল করে। ওই রাস্তার পাশে সার দিয়ে পুজোর জন্য গড়া হয়েছিল বাঁশের তোরণ। তার জন্য যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। শুক্রবার অফিস-টাইমে লালবাজার এলাকায় দেখা গেল, তীব্র যানজট। শহরের বেশ কিছু অলিগলিতেও একই অবস্থা।

প্রতাপবাগান এলাকায় রাস্তা এমনিতেই সরু। যাত্রীরা প্রায়ই নাজেহাল হন। শুক্রবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, প্রতাপবাগান পার্ক থেকে কিছু দূরেই রাস্তার দু’পাশে পুজোর জন্য গড়া বাঁশের তোরণ এখনও দাঁড়িয়ে। মুখোমুখি দু’টি গাড়ি এক সঙ্গে ওই এলাকা দিয়ে পারাপার করতে পারছে না। সমস্যায় পড়ছেন টোটো চালকেরা। বাঁকুড়া শহরের টোটোচালক প্রবীর ঘোষ বলেন, “শহরের রাস্তা এমনিতেই সরু, তার উপরে রাস্তার পাশে এই বাঁশের গেটগুলির জন্য পারাপার করা যাচ্ছে না। যানজট তো হচ্ছেই, দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে যে কোনও সময়ে।”

শহরের প্রতাপবাগান এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা বীরেন সরকার বলেন, “টোটো বা রিকশায় চড়ে যাওয়া তো দূরের কথা, সরু রাস্তার পাশে বাঁশের ওই গেটগুলির জন্য পায়ে হেঁটে পারাপার করাই মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।” লালবাজারের বাসিন্দা বিপ্লব বরাট বলেন, “প্রতিদিন যানজট হচ্ছে এই এলাকায়। পুজো শেষ হওয়ার পরেই পুজো কমিটিগুলির রাস্তার পাশে গড়া বাঁশের গেট খুলে ফেলতে উদ্যোগী হওয়া দরকার।”

সমস্যা যে হচ্ছে, তা মানছে শহরের বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলিও। তাদের তরফে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, শীঘ্রই রাস্তার পাশের তোরণ খুলে ফেলা হবে বলে। এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বাঁকুড়া পুলিশও। জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “শহরের কোথায় পুজোর তোরণ এখনও খোলা হয়নি তা খোঁজ নিচ্ছি। শীঘ্রই যাতে সেগুলি খুলে ফেলা হয়, সেই নির্দেশ পুজো কমিটিগুলিকে দেব।”

2019 Durga Puja Special Traffic
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy