Advertisement
E-Paper

কম্পিউটার শেখানোর তোড়জোড়, প্রাথমিকে শিক্ষক বাছাই

পাইলট প্রোজেক্ট’ হিসেবে বাঁকুড়া জেলায় মেজিয়া ব্লকের সব ক’টি প্রাথমিক স্কুলে কম্পিউটার চালু করা হচ্ছে বলে দাবি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের।

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২০ ০০:৫২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

প্রাথমিক স্তরেই খুদে পড়ুয়াদের কম্পিউটারে হাতেখড়ি করানো হবে সরকারি স্কুলে। ‘পাইলট প্রোজেক্ট’ হিসেবে বাঁকুড়া জেলায় মেজিয়া ব্লকের সব ক’টি প্রাথমিক স্কুলে কম্পিউটার চালু করা হচ্ছে বলে দাবি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘‘মেজিয়া ব্লকের সমস্ত প্রাথমিক স্কুলেই কম্পিউটার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। প্রাথমিক স্তরেই ছাত্রছাত্রীদের কম্পিউটার নিয়ে সাধারণ জ্ঞান দিতেই এই উদ্যোগ। ধাপে ধাপে জেলার অন্য ব্লকের স্কুলগুলিতেও কম্পিউটার কেনা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।”

রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বুধবার বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা রাজ্য থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যে সব প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি চালু হচ্ছে, তার মধ্যে থেকে এক হাজার স্কুলকে রাজ্য থেকে কম্পিউটার দেওয়া হবে।’’ তাঁর আশা, মেজিয়ার এই উদ্যোগ দেখে অন্য ব্লকও উৎসাহিত হবে।

বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন জানান, প্রাথমিক ভাবে স্কুলের তহবিল থেকেই ওই কম্পিউটারগুলি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ ক্ষেwwত্রে কোথাও সমস্যা হলে স্কুলগুলিকে সরকারি ভাবে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় শালতোড়া কেন্দ্রের বিধায়ক স্বপন বাউরি ও মেজিয়া ব্লকের অর্ধগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মলয় মুখোপাধ্যায়।

মেজিয়া অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সন্তু সিংহ জানান, ব্লকে মোট ৭৬টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। যার মধ্যে পাঁচটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি চালু ছিল। এ বছর নতুন করে আরও ২০টি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি চালু হতে চলেছে। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি প্রাথমিক স্কুলে ছাত্র পিছু বিশেষ অর্থ বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকা থেকেই স্কুলে কম্পিউটার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ তিনি জানান, বিধায়ক স্বপনবাবু, অর্ধগ্রামের প্রধান মলয়বাবু ও বিডিও (‌মেজিয়া) অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার সময় তাঁরা স্কুলে-স্কুলে কম্পিউটার পাঠের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে তাতে সম্মতি দেয় জেলা শিক্ষা দফতর। স্বপনবাবু ও মলয়বাবু বলেন, “স্কুলের তহবিল থেকেই কম্পিউটার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনও স্কুলের যদি আর্থিক সমস্যা থাকে, তা হলে আমরা সরকারি ভাবে সাহায্যের ব্যবস্থা করব।”

অনেক প্রাথমিক স্কুলে মিড-ডে মিল খাওয়ানোর পরেই পড়ুয়াদের বড় অংশ বাড়ি চলে যায়। সন্তুবাবু বলেন, “সিদ্ধান্ত নিয়েছি, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের পরে, কম্পিউটারের ক্লাস করাব। এর ফলে, ওই শ্রেণির পড়ুয়ারা মিড-ডে মিলের পরেও, স্কুলে থাকতে আগ্রহী হবে আর কম্পিউটার নিয়ে সাধারণ জ্ঞানও তাদের মধ্যে তৈরি হবে।”

জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) জগবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কোতুলপুর ব্লকে ৪৬টি প্রাথমিক স্কুলে কম্পিউটার দিয়ে ‘স্মার্ট ক্লাস’ করানো হয়। এ ছাড়া, বিক্ষিপ্ত ভাবে কয়েকটি ছাড়া, জেলার কোনও স্কুলেই কম্পিউটার নেই। মেজিয়া ব্লক এ ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হতে চলেছে। তিনি বলেন, “বর্তমানে কম্পিউটার জানা খুবই জরুরি। মেজিয়া ব্লকের প্রাথমিকের পড়ুয়ারা এ বার সেই সুযোগ পাবে।” জেলা স্কুল পরিদর্শক জানান, মেজিয়ার প্রতিটি স্কুলের এক জন করে শিক্ষককে বাছাই করে কম্পিউটারে স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে ভাবা হয়েছে। তাঁরাই স্কুলে পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ দেবেন।

Computer Education Pilot Proeject Mejia Bankura Primary Education
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy