মাথাহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় আগেই খুনের মামলা রুজু করেছিল পুলিশয়। এ বার ওই খুনের অভিযোগে গ্রামেরই এ কজনকে গ্রেফতার করল কাশীপুর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম বাবুদাস হাঁসদা। তাঁর বাড়ি কাশীপুর থানারই করঞ্জবেড়িয়া গ্রামে। রবিবার রাতে তাকে বাড়ি থেকে ধরার পরে সোমবার রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায়। এ দিকে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম প্রশান্ত টুডু (২২)। তাঁরও বাড়ি করঞ্জবেড়িয়া গ্রামে। জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা দাবি করেন, ‘‘ধরা পড়ার পরে জেরায় বাবুদাস পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেছে। তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে খুনের কাজে ব্যবহার করা অস্ত্র উদ্ধার করা-সহ ঘটনার বিষয়ে বিশদে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে।’’
রবিবার রাতে করঞ্জবেড়িয়া গ্রামের অদূরে রাস্তার উপরে একটি কালভার্টের নিচে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির মাথাহীন দেহ। পরের দিন সকালে পাশের ঝোপ থেকে মিলেছিল মাথাটি। তবে তাতে পচন ধরায় বিকৃত হয়ে পড়েছিল। সে কারণে মৃতের পরিচয় জানাতে সমস্যায় পড়ে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে নেমে জানা যায় করঞ্জবেড়িয়া গ্রামের এক যুবক প্রশান্ত কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একটি জামা দেখানোয় জামাটি প্রশান্তের বলে তাঁরা সনাক্ত করেন। তারপরেই তদন্ত চালিয়ে কিছু তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বাবুদাস হাঁসদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি জেরায় ধৃত ব্যক্তি জানিয়েছে ১৬ জুন রাতে হাঁসুয়া দিয়ে প্রশান্তকে খুন করেছিল সে। পুলিশের দাবি, ধৃত ব্যক্তি জেরায় তাদের জানিয়েছে তার স্ত্রী-র সঙ্গে প্রশান্তের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে তার সন্দেহ। সে কারণেই আক্রোশবশত খুন করে মাথাটি দূরে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিল সে।