জাহিদুল ইসলাম। নিজস্ব চিত্র
সাপে কাটা এক যুবককে ওঝার কাছে নিয়ে যেতে বাধা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাল পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে ওই যুবককে পুলিশের গাড়িতে চাপিয়ে রামপুরহাট মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান মাড়গ্রাম থানার অফিসার-ইন-চার্জ জাহিদুল ইসলাম। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই যুবকের শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল।
পুলিশ ও স্থানীয়ূ সূত্রে জানা যায়, বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় সোমবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানার মিরাটি গ্রামের ৩২ বছরের যুবক ঘনশ্যাম মালকে সাপে ছোবল মারে। পরিবার এবং গ্রামের কিছু লোকের পরামর্শে, ওই যুবককে গভীর রাতে বাইকে চাপিয়ে বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার অধীন বামদেবপুরে এক ওঝার কাছে নিয়ে আসা হচ্ছিল।
পথে রামপুরহাট দুনিগ্রাম রোডে হাঁসন তিনমাথা মোড়ে প্রহরায় ছিলেন জাহিদুল। সেখানেই তিনি ওই যুবকের পরিজনদের তাঁকে ওঝার কাছে নিয়ে যেতে বাধা দেন ও মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।
জাহিদুল বলেন, ‘‘গভীর রাতে বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের টহলদারি দেওয়ার সময় হাঁসন তিনমাথা মোড়ে দেখি একটি মোটরবাইকে ওই সাপে কাটা রোগীকে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই যুবকের অবস্থা শারীরিক দেখে বাধা দিই।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম দিকে পরিবারের লোকজন বাধা শুনতে চাননি। পরে গ্রেফতার করার ভয় দেখিয়ে অসুস্থ যুবককে গভীর রাতে পুলিশের গাড়িতে চাপিয়ে রামপুরহাট মেডিক্যালে এনে ভর্তি করানো হয়।
মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন পেশায় দিনমজুর ওই যুবক ঘনশ্যাম বলেন, ‘‘সাপে কাটার পর আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। হাসপাতালে চিকিৎসায় ভাল আছি। ওঝার কাছে নিয়ে যেতে বাধা দিয়ে পুলিশ ঠিকই করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy