বারাবন-কাণ্ডে বিস্ফোরণের মামলাই রুজু করল পুলিশ। মূল অভিযূক্ত শেখ আইনুস। যদিও অভিযোগ হয়েছে, এটা জানার পরই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত। বুধবার সকালে বিস্ফোরণ ঘটে উড়ে যায় বারাবন গ্রামের নীচু পাড়ায় তৃণমূল কর্মী আইনুসের রান্নাঘরের চাল। এলাকাবাসীর দাবি ছিল, বাড়িতে রাখা বোমা বিস্ফোরণেই এই পরিণতি।
স্থানীয়দের একটা অংশেরই দাবি, পাছে সত্যিটা বেরিয়ে আসে, তাই সংবাদমাধ্যমকে ঘটনাস্থলে ঢুকতে বাধা দেয় আইনুসের সঙ্গীসাথীরা। পুলিশ থাকা সত্বেও হেনস্থার শিকার হতে হয় সংবাদমাধ্যমকে। বাধাদানকারীদের দাবি ছিল, সামান্য ঘর পুড়েছে, এতে সংবাদমাধ্যমের আসার প্রয়োজনটা কী। প্রায় একই সুরে পুলিশের দাবি ছিল, প্রায় একই সময়ে ওই ঘরটিতে আগুন লাগার ঘটনাও ঘটেছিল। কিন্তু কোনটা আগে, বিস্ফোরণ নাকি আগুন? সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। পরে সেই ধোঁয়াশা কাটায় পুলিশ। ততক্ষণে অবশ্য অভিযুক্ত পালিয়েছে।
এলাকাবাসীর একটা অংশ জানাচ্ছেন, অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানা বারাবন গ্রাম। বহুকাল ধরেই এলাকায় অপরাধীদের দাপট। বোমা-বারুদ, খুন-জখমের সঙ্গে রয়েছে সঙ্গে অবৈধ কয়লার রমরমা করাবার। চলতি মাসে লোকপুর থানা এলাকার ডেমুরটিটা এবং মাত্র আড়াই কিমি দূরে বারাবনে
বিস্ফোরণে দুটি বাড়ি উড়ে যাওয়া সেই ইঙ্গিত বহন করে। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, এ জন্য বিশাল কয়লা সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ এবং রাজানৈতিক ভাবে এলাকার দখলদারি নিয়ে শাসকদলের দুটি বিবাদমান গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা। আড়ালে তৃণমূল নেতারও মানছেন সে কথা। তবে কেউই এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি। জবাব এড়িয়েছে জেলা পুলিশও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy