Advertisement
E-Paper

ছিনতাই হওয়া লোহা বোঝাই আস্ত ট্রাক উদ্ধার করল পুলিশ, বাঁকুড়ার ঘটনায় গ্রেফতার তিন

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪ ২৩:২১

—প্রতীকী চিত্র।

অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া ১৪টি বাইক উদ্ধারের পর এ বার ছিনতাই হওয়া লোহার রড বোঝাই আস্ত ট্রাক উদ্ধার করল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানা এলাকা থেকে ওই ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। ট্রাকে থাকা প্রায় সমস্ত সামগ্রী অক্ষত রয়েছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চক্রে আরও কেউ যুক্ত রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

গত ১৬ জুলাই বড়জোড়া থেকে একটি ট্রাকে লোহার রড বোঝাই করে বাঁকুড়া-পুরুলিয়া রো়ড ধরে পুরুলিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন ট্রাক চালক অজিত বাউরি। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বাঁকুড়া সদর থানার নতুনগ্রাম মোড়ের কাছে আচমকাই ট্রাকটিকে অনুসরণ করতে শুরু করে একটি পিক আপ ভ্যন। নতুনগ্রাম মোড় থেকে ট্রাক কিছুটা এগোতেই পিছনে থাকা পিক আপ ভ্যান ট্রাকটির আগে গিয়ে পথ আটকায়। স্বাভাবিক ভাবেই ব্রেক কষে লরি চালককে লরি দাঁড় করাতে হয়। এর পরেই চার দুষ্কৃতী ট্রাকে উঠে প্রথমে ট্রাক চালক অজিত বাউরির হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাস্তার ধারে ফেলে দেয়। এর পর লোহার রড বোঝাই ট্রাক নিয়ে চম্পট দেয় তারা। পরের দিন এই ঘটনা লিখিত ভাবে বাঁকুড়া সদর থানায় জানান ট্রাকচালক অজিত বাউরি। অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। নিজস্ব সূত্র কাজে লাগিয়ে ও রাস্তায় থাকা বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ছিনতাইয়ের পর যে চালক ট্রাকটি চালিয়ে চম্পট দিচ্ছিলেন, তাঁকে শনাক্ত করেন তদন্তকারীরা। এর পর পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানার পানিকোটোর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় ক্ষুদিরাম মাণ্ডি নামের এক ট্রাক চালককে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা শহরের মুসরাকিম খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ধৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাই গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় বিধান ভুঁইয়া নামের আর এক পাণ্ডাকে। উদ্ধার হয় ট্রাকটিও। তদন্তকারীদের দাবি, ক্ষুদিরামের বিরুদ্ধে অতীতে ট্রাক চুরির মতো কোনও অভিযোগ না থাকলেও অন্য দু’জনের বিরুদ্ধে এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক ছিনতাইয়ের মতো অভিযোগ রয়েছে।

বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘‘এই ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনায় আর কেউ যুক্ত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ধৃতদের অতীতে এই ধরনের কী রেকর্ড রয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে খোয়া যাওয়া সামগ্রীর যে অংশ এখনও উদ্ধার হয়নি, তা উদ্ধারেরও চেষ্টা চালানো হবে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy