Advertisement
০৫ মে ২০২৪

এ বার কুকথায় জড়ালেন জিম্মি

পুলিশকে কু-কথা বলার অভিযোগে, এক কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে স্বতোপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছে পুলিশ। তারই প্রতিবাদে থানায় বিক্ষোভ জানাতে এসে কুকথায় জড়িয়ে পড়লেন দলের জেলা সভাপতি! রবিবার রামপুরহাটের ঘটনা। খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিত পুলিশের সঙ্গে শাসকদলের আঁতাতকে ইঙ্গিত করে প্রভুভক্তির কথা বলেন।

সাঁইথিয়া থানার সামনে কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

সাঁইথিয়া থানার সামনে কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৫ ০০:৩৮
Share: Save:

পুলিশকে কু-কথা বলার অভিযোগে, এক কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে স্বতোপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছে পুলিশ। তারই প্রতিবাদে থানায় বিক্ষোভ জানাতে এসে কুকথায় জড়িয়ে পড়লেন দলের জেলা সভাপতি! রবিবার রামপুরহাটের ঘটনা।

খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিত পুলিশের সঙ্গে শাসকদলের আঁতাতকে ইঙ্গিত করে প্রভুভক্তির কথা বলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। এ দিন অবিলম্বে সেই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জেলা জুড়ে কংগ্রেসের থানা ঘেরাও কর্মসূচী পালিত হয়। মাড়গ্রাম, মুরারই, নলহাটি থানা-সহ জেলার বিভিন্ন থানায় কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়। রামপুরহাট থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। জিম্মি এ দিন থানার সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশকে ‘জানোয়ার’ বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্বেও জিম্মি একাধিকবার পুলিশকে ‘জানোয়ার’ বলেন।

বীরভূম জেলা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি জিম্মি এ দিন বলেন, ‘‘বিধায়ক আশিস মার্জিত একজন তফসিলি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে। আমরা আশিস মার্জিতের বক্তব্যকে সমর্থন জানাই। উনি পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত পুলিশকে ‘কুকুর’ বলেননি। সাত্তোরের পুলিশ যে রকম অমানবিক কাজ করেছে। তাদের কুকুর বলেছেন।’’

জেলায় ভাষা সন্ত্রাস বীরভূমে নতুন নয়। এর আগে জেলায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা মারতে বলেছিলেন। পরে বীরভূম জেলা বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি দুধ কুমার মণ্ডল পুলিশের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। দলের কর্মী সভায় তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও চোখ গেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এরপরই জিম্মি বিতর্কে জড়ালেন। জিম্মি এ দিন আরও বলেন, ‘‘সাত্তোরের পুলিশ আজকেও আবার সেই মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে এ্যরেস্ট করেছে। কারণ তারা প্রতিবাদ করেছে। সংগঠিত ভাবে প্রতিবাদ করে, গ্রামের মধ্যে তৃণমূল পার্টি অফিসে এত বোমা কেন? এলাকায় এত সন্ত্রাস কেন? গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তারা প্রতিবাদ জানাতে এসেছিল। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE