শান্তিনিকেতনে পূর্বপল্লির মাঠে ‘বিকল্প’ পৌষমেলায় প্রস্তুতি দেখতে এসে ছাত্রীদের সেলফি।বৃহস্পতিবার। ছবিঃ বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
তিন বছর পরে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লি মাঠে ফিরেছে পৌষমেলা। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সেই মেলা না-করলেও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হচ্ছে ‘বিকল্প’ পৌষমেলা। যাঁর কার্যকালে পরপর তিন বছর এই মেলা করেনি বিশ্বভারতী, সেই প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ই-মেল করে মেলায় আমন্ত্রণ জানাল ‘পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি’।
উপাচার্য থাকাকালীন এই কমিটির সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছিলেন বিদ্যুৎ। তাঁকেই মেলায় আমন্ত্রণ করে কমিটির সদস্যেরা সৌজন্য দেখালেন।
২০২০ সালে করোনার যুক্তি দিয়ে এবং তার পরের দু'বছর পরিবেশ আদালতের দূষণ সংক্রান্ত নির্দেশিকা-সহ আরও নানা কারণ দেখিয়ে পৌষমেলা করেননি বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তার পরিবর্তে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ, বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি, বোলপুর পুরসভার উদ্যোগে ডাকবাংলো মাঠে ২০২১ ও ‘২২ সালে ‘বিকল্প’ পৌষমেলার আয়োজন করা হয়। সেই সময় থেকেই ‘পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি’ তৈরি করে শুরু হয় আন্দোলন। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সরব হয়েছে ‘পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি’।
এ বছর ২৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই মেলা। সেখানেই আমন্ত্রণ জানানো হল প্রাক্তন উপাচার্যকে। এর আগে গত বছর ‘বিকল্প’ পৌষমেলায় বিদ্যুৎকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি আসেননি। উল্টে লিখিত বিবৃতি দিয়ে বিদ্যুৎ জানিয়েছিলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি তদন্ত করছে, তাঁদের সঙ্গে এক মঞ্চে থাকবেন না। এই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি।
এ বছর ৮ নভেম্বর বিদ্যুতের মেয়াদ শেষ হয়েছে উপাচার্য হিসাবে। কিন্তু, পুরনো ‘তিক্ততা’ আর মনে রাখতে চান না পৌষমেলা বাঁচাও কমিটির সদস্যেরা। কমিটির পক্ষে আমিনুল হুদা, সুব্রত ভকত বলেন, “পৌষমেলা শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য। তাই রবীন্দ্র-ঐতিহ্য মেনে আমরা চাই, সেই মেলায় সবাই একত্রিত হোন। তাই প্রাক্তন উপাচার্য পরপর কয়েক বছর মেলা না করলেও আমরা তাঁকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছি।”
তবে, বিদ্যুৎ বিকল্প পৌষমেলায় আসবেন কি না, জানা যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি। মোবাইলে বার্তারও জবাব আসেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy