Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

হাসপাতালে প্রসূতিকে মার 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রসূতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার গভীর রাতে ওই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:১৫
Share: Save:

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রসূতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার গভীর রাতে ওই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। প্রসূতির আত্মীয়পরিজন শনিবার দুপুরে হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ডেপুটি সুপার শর্মিলা মৌলিক বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রসব বেদনা নিয়ে শুক্রবার রাতে প্রথমে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল মুরারই থানার কনকপুর গ্রামের বাসিন্দা সাহিদা বিবিকে। সেখান থেকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সাহিদার ভাই সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘‘হাসপাতালের মাতৃযানে দিদিকে রামপুরহাট মেডিক্যালে নিয়ে আসার পথেই ওর প্রসব হয়। রামপুরহাট মেডিক্যালে রাত ১২টা নাগাদ পৌঁছই। কর্তব্যরত নার্সদের গাফিলতিতে প্রায় অনেকটা দেরিতে দিদিকে ভর্তি করানো সম্ভব হয়।’’ সাহিদা বিবির মা অজেফা বিবি বলেন, ‘‘প্রসূতি বিভাগে সাহিদাকে নিয়ে যাওয়ার পরে লেবার রুমে ওকে আর সদ্যোজাত শিশুকে পরিষ্কার করানোর সময় যন্ত্রণা অনুভব করে চিৎকার করে ওঠে সাহিদা।’’ তাতে খেপে গিয়ে কর্তব্যরত নার্স সাহিদাকে গালিগালাজ করে তাঁর গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ।

সাদ্দাম ও অফেজার আরও দাবি, সাহিদাকে শয্যায় শুয়ে দেওয়ার পরে এক জন চিকিৎসক এসে বিনা কারণে তাঁর চুলের মুঠি ধরে চড় মারেন। এই অভিযোগের কথা জানাজানি হওয়ার পরে মুরারই এলাকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যেরা শনিবার রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন।

রোগীর আত্মীয়পরিজনকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ এবং অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। একই অভিযোগ মেডিক্যাল কলেজের মেডিক্যাল সুপারিন্টেডেন্ট তথা ভাইস প্রিন্সিপাল এবং রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে দায়ের করা হয়। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং রোগীর পরিবারের দাবি, এক জন সদ্য প্রসূতির প্রতি এই ধরনের আচরণ অমানবিক।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে, তিনি রামপুরহাট মেডিক্যালে দু’বছরের চুক্তিতে গত বছরের অগস্ট মাসে যোগ দেন। শনিবার ওই চিকিৎসকের সঙ্গে অনেক বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE