অন্তঃসত্ত্বাকে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই ঘটনা। বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার মির্জাপুর এলাকায় শুক্রবার সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে জবা বাগ (২০) নামে ওই বধূর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকেই জবার স্বামী সন্তোষ বাগ পলাতক। মৃতার পরিবারের তরফে দাবি, জবা প্রায় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। এ দিন সকালে ওই বধূর রক্তাক্ত দেহ মেঝেয় পড়ে থাকতে দেখে পড়শিরা পুলিশকে খবর দেন। সকাল ৯টা নাগাদ পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। পরে মৃতার বাবা মদন মেটে পুলিশের কাছে জামাই সন্তোষ বাগ, মেয়ের শ্বশুর লাল্টু বাগ এবং শাশুড়ি কল্পনা বাগের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এ দিন বিকেল পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হননি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ইন্দাস থানার চেকপোস্ট গ্রামের জবার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সন্তোষের। দুই পরিবারই পেশায় খেতমজুর। মৃতার বাবার অভিযোগ, “বিয়ের পর থেকে নানা অছিলায় জবার উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিল জামাই-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অনেক বার জবাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়েও দেওয়া হয়েছিল। পরে স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় ফের জবাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়। আমার সন্দেহ, বৃহস্পতিবার রাতে ফের জবার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের গোলমাল বাঁধে। সেই সময় ওর মাথায় মুগুর জাতীয় কিছু দিয়ে জোরালো আঘাত করা হয়।’’ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই বধূর মাথায় জোরালো আঘাতের ফলেই মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি কাঠের মুগুরও পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy