অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
রেঁধে-বেড়ে, পাতপেড়ে খাওয়ানো হবে। তবে ভোজ পুরোদস্তুর নিরামিষ। থাকবে নামমাত্র তেল-মশলা। বিজেপি-র মহিলা কর্মীদের তদারকিতে দলের এক কর্মীর বাড়ির হেঁশেলে রান্না হবে।
আজ, বুধবার সকাল দশটা নাগাদ তারাপীঠ লাগোয়া সরস্বতী শিশুমন্দিরের মাঠে নামবে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতির হেলিকপ্টার। তার পরে তারাপীঠে পুজো দিয়ে জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা অমিত শাহের। জেলা বিজেপি সূত্রের খবর, পুরুলিয়া রওনা হওয়ার আগে বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ মধ্যাহ্নভোজ হতে পারে।
চলছে তারই প্রস্তুতি। তারাপীঠ সংলগ্ন তারাপুরের বাসিন্দা কালীপ্রসাদ মণ্ডলের বাড়িতে রান্না হবে। শাহের পাতে ঠিক কী কী পড়তে চলেছে, দলের নেতাকর্মীরা আগ্রহভরে তা জানিয়েও রেখেছেন। তারাপুর গ্রামের বাসিন্দা দলের জেলা সম্পাদক আশিস ঘোষ জানান, অমিতজি-সহ দশ জনের রান্না করে রাখা হচ্ছে। মেনুতে থাকছে— ভাত-রুটি, মুগের ডাল, হালকা মশলা দেওয়া লাউ সেদ্ধ, ছানার ডালনা, সব্জি অথবা দুধ শুক্ত, টক দই, রায়তা, ফ্রুট স্যালাড, সুগার ফ্রি কলাকাঁদ সন্দেশ। পরিবেশন করবেন দলের মহিলা কর্মীরাই।
বৈঠক হওয়ার কথা সরস্বতী শিশু মন্দিরেই। বিজেপি সূত্রের খবর, এক ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বীরভূম জেলা কমিটির ২১ জন সদস্য, ৭ মোর্চা সভাপতি, ৪০টি মণ্ডল কমিটির সভাপতি, প্রাক্তন জেলা সভাপতি এবং সমস্ত পুরপ্রতিনিধিরা। শিশু মন্দির লাগোয়া আর একটি জায়গায় অন্য কর্মীদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে খবর।
বুধবার দুপুরে তারাপীঠ লাগোয়া কড়কড়িয়া গ্রামের শিশু মন্দির এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, শাহের হ্যালিকপ্টার নামার পরে যে রাস্তা দিয়ে তারাপীঠ মন্দিরের দিকে যাবেন, সেই পথে পাথরের গুঁড়ো ফেলা হচ্ছে। রাস্তার ধারের ঝোপ-জঙ্গল পরিষ্কার করা হচ্ছে। এ দিকে, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুলিশ কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য তারাপীঠ থানায় আনা হয়েছে। তারাপীঠ মন্দির কমিটির সেবাইত সমিতির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, অমিত শাহ মন্দিরে এসে যাতে সুষ্ঠু ভাবে মা তারার পুজো দিতে পারেন তার জন্য কমিটি সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy