দুর্গাপরে ‘সিনার্জি’র মঞ্চে জেলার জন্য ‘এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক’ গড়ার প্রস্তাব দিলেন ‘বাঁকুড়া চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়’-এর কর্তারা। বুধবার ওই অনুষ্ঠানে তাঁরা বাঁকুড়া জেলায় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও দাবি করেন।
এ দিন পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার শিল্পোদ্যোগীদের নিয়ে আয়োজিত ‘সিনার্জি অ্যান্ড বিজ়নেস ফেসিলিটেশন কনক্লেভ’-এ যোগ দেন ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। তিনি জানান, তিন জেলায় ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে মোট ৫,০৯৩ কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর ফলে, মোট ১১ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ
তৈরি হবে। তাঁর কথায়, “পশ্চিম বর্ধমানে ৪,২৪৩ কোটি, বাঁকুড়ায় ৪৮৯ ও পুরুলিয়ায় ৩৬১ কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’’
‘বাঁকুড়া চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়’-এর যুগ্ম সম্পাদক প্রবীর সরকার এ দিন বলেন, ‘‘বাঁকুড়া জেলায় ১৭টি আইটিআই এবং পাঁচটি পলিটেকনিক কলেজ রয়েছে। বাঁকুড়ার শিল্প সংস্থাগুলি সেখান থেকে নিয়োগ করলে, তাদের যেমন লাভ হবে, জেলার কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ছাত্রছাত্রীরাও নিজের জেলায় কাজের সুবিধা পাবেন। একটি পোর্টাল তৈরি করা হবে, যেখান থেকে জেলার আইটিআই ও পলিটেকনিক কলেজগুলির পড়ুয়ারা ও জেলার শিল্প সংস্থাগুলি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে।’’ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন দরিপা জানান, অন্য জেলার শিল্প সংস্থাও ওই পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। তাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।
‘সিনার্জি’-তে উপস্থিত বাঁকুড়ার এক আইটিআই কলেজের অধ্যক্ষের মতে, কলেজগুলির ছাত্রছাত্রীদের চাকরির সুযোগ করে দেওয়ার নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে। তার সঙ্গে এই ব্যবস্থা যুক্ত হলে, জেলার পড়ুয়াদের জন্য ভালই হবে। তার সঙ্গে, জেলাতেই শিক্ষানবীশ কর্মী হিসেবে কাজের সুযোগ দিলে ভাল হয় বলে তাঁর দাবি।
মধুসূদনবাবু বলেন, ‘‘জেলার বিভিন্ন হস্তশিল্পের উন্নতি এবং ই-কমার্সের মাধ্যমে তাদের উন্নতির চেষ্টা করা হবে।’’ প্রবীরবাবুর দাবি, ‘‘ভবিষ্যতে জেলায় হাজার কোটি বিনিয়োগের সম্ভবনা রয়েছে। এর মধ্যে কিছু প্রস্তাব আকারে জমা পড়েছে এবং কিছু আলোচনার স্তরে রয়েছে।’’ তিনি জানান, ‘ফ্লাই অ্যাশ’ থেকে ইট তৈরির কারখানাগুলির জন্য কাঁচামাল জোগানের উপযুক্ত নীতি নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এমএসএমই দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ পান্ডে এই ইটের গুণমান পরীক্ষা করে সরকারি কাজে ব্যবহারে পদক্ষেপের আশ্বাস দেন। বাঁকুড়ার ব্যবসায়ী সংগঠনটির কর্তাদের অভিযোগ, জেলায় যেখানে ২৮ জন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অফিসার দরকার, সেখানে মাত্র আট জন রয়েছেন। এ বিষয়ে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।