E-Paper

বর্ষবরণে ঘুচল বড়দিনে ভিড়ের খরা

পুরুলিয়ায় চড়ুইভাতি করার অন্যতম জনপ্রিয় জায়গা হল সাঁতুড়ি ব্লকের বড়ন্তি জলাধার ও পাহাড়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:৪৫
মুকুটমণিপুর পর্যটন কেন্দ্রে ভিড়।

মুকুটমণিপুর পর্যটন কেন্দ্রে ভিড়। নিজস্ব চিত্র।

বড়দিনে পর্যটকের অভাব কিছুটা মিটেছে নতুন বছরে। ১ জানুয়ারি মোটের উপর ভিড় মন্দ ছিল না পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়, গড়পঞ্চকোট, বড়ন্তি, জয়চণ্ডী পাহাড়, রঞ্জনডি জলাধার, মুরগুমা জলাধারের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরগুলির তুলনায় এ বার এই এলাকাগুলিতে পর্যটকদের ভিড় অনেকটাই কম।

পুরুলিয়ায় চড়ুইভাতি করার অন্যতম জনপ্রিয় জায়গা হল সাঁতুড়ি ব্লকের বড়ন্তি জলাধার ও পাহাড়। পুলিশ জানাচ্ছে, বিগত বছরগুলিতে ২৫ ডিসেম্বরের আগে থেকেই সেখানে ভিড় জমেছিল। অথচ ২০২৪-এর বড়দিনে তেমন পর্যটক আসেনি। ১ জানুয়ারিতেও বিগত বছরগুলির তুলনায় ভিড় পাতলা ছিল। বড়ন্তিতে চারটি পার্কিংয়ে দু’শোর কিছু বেশি গাড়ি ও বাস দাঁড়াতে পারে। বুধবার, সেই পার্কিং পুরো ভরেনি। গড়পঞ্চকোটেও তেমন ভিড় ছিল না। এর চেয়ে রবিবারগুলিতে সেখানে বেশি ভিড় হয়, দাবি পুলিশের।

কাশীপুরের রঞ্জনডি জলাধার ‘পুরুলিয়ার সুন্দরবন’-এর নামে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সমাজমাধ্যমে। সেখানে অবশ্য এ দিন বড়দিনের তুলনায় বেশি ভিড় ছিল। পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা আইনজীবী হরিশঙ্কর কুইরি বলেন, “রঞ্জনডি ঘুরে দেখার ইচ্ছা ছিল। এ বার ঘুরে নিলাম। ভিড় মন্দ ছিল না।” যদিও পুলিশের দাবি, গত বারের তুলনায় এ বার রঞ্জনডিতেও ভিড় কম ছিল। মুরগুমা জলাধার ও জয়চণ্ডী পাহাড়ে বেশ ভাল পরিমাণে পর্যটক এসেছিল। অযোধ্যা পাহাড়ে বড়দিনে কুড়ি হাজার মতো পর্যটক এসেছিল। এ দিন সেই ভিড় বেড়ে দ্বিগুণ হয়।

অন্য দিকে, বাঘিনি জ়িনতের আতঙ্কে ২৫ ডিসেম্বর বান্দোয়ানের দুয়ারসিনি ও টটকো জলাধার ও পাশে বোরো থানার দুর্গাডিও কার্যত ফাঁকা ছিল। বাঘিনি ধরা পড়তেই বর্ষবরণে টটকো জলাধার ও দুয়ারসিনিতে চড়ুইভাতি করতে এসেছিল অন্তত ৩০টি দল। দুর্গাডিতেও একই ছবি। টটকো জলাধারে চড়ুইভাতি করতে আসা বান্দোয়ানের কৃষ্ণপদ মাহাতো বলেন, “বাঘিনির আতঙ্কে ২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে পরের দিনগুলিতে চড়ুইভাতি করার পরিকল্পনা বাদ দিয়েছিলাম। সেই আতঙ্ক এখন কেটে গিয়েছে।”

এ দিন সকাল থেকে বিষ্ণুপুর শহরে, পোড়ামাটি হাট লাগোয়া এলাকায় প্রচুর পর্যটক আসে। ঝাড়খণ্ড থেকে বিষ্ণুপুর ঘুরতে আসা নবীন দে বলেন, “ভাল ঠান্ডা থাকায় দিনভর ঘুরতে পেরেছি।” সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল জয়পুর জঙ্গলে। তবে মুকুটমণিপুরের ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ২৫ ডিসেম্বরের খরা কেটেছিল ২৯ ডিসেম্বরেই। সেই তুলনায় এ দিন ভিড় কম ছিল। গত রবিবার প্রায় ২০০টি বাস ও ১০০০টি ছোট গাড়ি এসেছিল। এ দিন ১৭০টি বাস ও ১২০০টি ছোট গাড়ি আসে। মুকুটমণিপুর জলাধারে নজর মিনারও তৈরি করে পুলিশ। ইঁদপুরের কদমদেউলি জলাধারে জমে ওঠে পিকনিক। অনুমান, প্রায় ৩০ হাজার পর্যটকের ভিড় ছিল।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

bankura purulia

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy