E-Paper

বিহারের নাচের দলে পাচার দুই কিশোরী

পরিজনেরা বিভিন্ন জায়গায় ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও খবর না পেয়ে শেষে পুলিশের কাছে তাদের নামে নিখোঁজের ডায়েরি করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:২০
ধৃত মহিলা। নিজস্ব চিত্র

ধৃত মহিলা। নিজস্ব চিত্র

স্কুলে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছিল পুরুলিয়ার একই থানা এলাকার দুই কিশোরী। পাচার চক্রের হাত ঘুরে তারা পৌঁছয় বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলার মঝৌলিয়ায়। সেখানে একটি নাচের দলে তাদের ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ওই দুই কিশোরী বাড়ি ছাড়ার এক মাসের মধ্যে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ মঝৌলিয়া থেকে রবিবার তাদের উদ্ধার করে আনল। গ্রেফতার করা হয় পাচার চক্রের পান্ডা প্রীতি নামে এক মহিলাকেও। ধৃতকে সোমবার পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে ১০ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২ জানুয়ারি দুই কিশোরী স্কুলের পোশাকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। পরিজনেরা বিভিন্ন জায়গায় ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও খবর না পেয়ে শেষে পুলিশের কাছে তাদের নামে নিখোঁজের ডায়েরি করেন।

পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাড়িতে কোনও বিষয়ে ঝাগড়াঝাটি হওয়ায় দুই কিশোরী পালিয়ে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, সে দিন রাতেই তারা ট্রেন ধরে প্রথমে দুর্গাপুর স্টেশন পৌঁছয়। সেখান থেকে অন্য ট্রেনে শিয়ালদহে যায়। সেখানে তারা রূপালি নামে এক ভদ্রমহিলার খপ্পরে পড়ে। রূপালি তাদের কাজ দেওয়ার আশ্বাস দেয়। তার স্বামী বলে কার্তিক নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। ওই দু’জনের মাধ্যমেই পুরুলিয়ার দুই কিশোরী পৌঁছয় বিহারের পশ্চিম চম্পারণে।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘রূপালি, কার্তিকের পাশাপাশি বর্ধমানের প্রীতি নামে এক মহিলার খোঁজ আমরা পেয়েছি। তাদের মাধ্যমেই পশ্চিম চম্পারণের মঝৌলিয়ায় একটি নাচের দলে ওদের তুলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন নাচের দলে তাদের নাচতে বাধ্য করানো হয়। এমনকি যৌন হেনস্থারও চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।’’ তিনি জানান, এই পাচার চক্রে আর কারা জড়িত, তাদের নাম পুলিশের হাতে এসেছে। প্রীতিকে হেফাজতে নিয়ে আরও তথ্য নিয়ে বাকিদেরও গ্রেফতার করা হবে।

পাচার চক্রের সঙ্গে কি আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের যোগ রয়েছে? পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘এ টুকু জানা গিয়েছে ওই দুই কিশোরীকে মঝৌলিয়া থেকে অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা পাচারকারীদের ছিল। সুর্নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

purulia

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy