Advertisement
E-Paper

রাতের রাস্তায় জখম নেতাপুত্র

শনিবার সকালে পীষূষবাবু অবশ্য দাবি করেন, মোটরবাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর ছেলে। একই কথা জানান বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:২৬
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কী ভাবে জখম হলেন বিদায়ী তৃণমূল পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডের ছেলে— এই জল্পনা চলছে দুবরাজপুর পুর-শহরে। পীযূষবাবুর ছেলে অর্ক গুলিতে জখম হয়ে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন— শুক্রবার গভীর রাতে এই খবরে শোরগোল পড়েছিল শহরে। শনিবার সকালে পীষূষবাবু অবশ্য দাবি করেন, মোটরবাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর ছেলে। একই কথা জানান বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ।

কিন্তু বেলা বাড়তেই জল্পনা উস্কে দেন দুর্গাপুরের বিধাননগরের ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানেই চিকিৎসাধীন অর্ক। হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার পার্থ পাল দাবি করেন, তাঁদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ওই যুবকের বাঁ দিকের কাঁধ ও বগল ছুঁয়ে দু’টি গুলি বেরিয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘গুলি লাগলে যে রকম ‘বার্ন ইনজুরি’ হয়, তেমনই হয়েছে। তা ছাড়া, আমরা রোগীর কাছে নিয়ম অনুযায়ী ‘কেস হিস্ট্রি’ জানতে চেয়েছিলাম। রোগীও গুলি লাগার কথাই বলেছেন।’’ হাসপাতালের তরফে পুলিশকেও সে কথা জানানো হয়েছে বলে মেডিক্যাল সুপার পার্থবাবুর দাবি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসকদের কাছে অর্ক জানিয়েছেন, এক পরিচিতের শবদাহ করে মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার সময়ে উল্টো দিক থেকে মোটরবাইকে এসে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান। অর্ক এখন ‘বিপদমুক্ত’ বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশও দাবি করেছেন, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি ফেরার সময় দুবরাজপুর পুরক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়ামের কাছে ‘আক্রান্ত’ হন বছর পঁচিশের অর্ক। দু’জন মুখঢাকা দুষ্কৃতী আগে থেকেই সেখানে অপেক্ষায় ছিল। তারা গুলি করে অর্ককে। তার পরে পালিয়ে যায়। মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়েন ওই যুবক। ওই অবস্থাতেই ফোন করে এক পরিচিতকে ডাকেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে দুর্গাপুরের হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কিন্তু পুলিশ বা পীযূষবাবু নিজে সে কথা মানেননি। পীযূষবাবু দাবি করেন, ‘‘পাড়ায় এক জনের মৃত্যু হয়েছিল। শুক্রবার রাতে শ্মশান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটরবাইক থেকে পড়ে যায় অর্ক। তাতেই ও চোট পেয়েছে। এখন ভাল আছে।’’ দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউরি এ দিন দুর্গাপুরে একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘মোটরবাইক থেকে পড়ে গিয়ে, গাছের ডাল লেগে হাত-পা কেটেছে অর্কের।’’ তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, শনিবার সকালে দুবরাজপুর থানার ওসি বিদায়ী পুরপ্রধানের বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁদের দাবি, অর্কের কয়েক জন সঙ্গীকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপারও বলেছেন, ‘‘গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনও অভিযোগ নেই। একটি দুর্ঘটনা হয়েছে বলে অভিযোগ হয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখছি।’’ কিন্তু কেউ মোটরবাইক থেকে পড়ে গেলে পুলিশের কাছে কেন অভিযোগ দায়ের করা হবে? কেনই বা আহতের সঙ্গীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তার সদুত্তর মেলেনি।

Dubrajpur TMC Crime Attack
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy