নজর: প্রান্তিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
অবৈধ ভাবে বালি তুলতে গিয়ে কেউ নদী বাঁধ কেটে দিয়েছে, এমনটা নজরে এলে ইঞ্জিনিয়ারদের তখনই এফআইআর করার নির্দেশ দিলেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার সেচ দপ্তরের উদ্যোগে বোলপুরের শ্যামবাটিতে নির্মিত ‘পরিদর্শন কুঠি খোয়াই’ আবাসনের দ্বারোঘাটন করে দফতরের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। এ বছর জেলায় ৭০ কিলোমিটার সেচ খাল সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। হিংলো ও তিলপাড়া জলাধারের জলধারণ ক্ষমতা বা়ড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের আগে প্রান্তিকের কাছে বনডাঙ্গা এলাকায় ক্যানেলের উপর নির্মাণরত সেতুটি ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। এ দিনের বৈঠকে ছিলেন এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) নিবিল ঈশ্বরারী, মহকুমাশাসক শম্পা হাজরা-সহ জেলা সেচ দফতরের আধিকারিক ও অন্যেরা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেচ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বীরভূমে ১৩ থেকে ১৪টি নতুন সেতু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মিটিংয়ে হিংলো ও তিলপাড়া জলাধারের জলধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগে একটা সার্ভে হবে। এস্টিমেট তৈরি করা হবে।’’ যোগ করেন, ‘‘এই জেলায় মোট ৭০০ কিলোমিটার সেচ খাল রয়েছে। তার মধ্যে ২০০ কিলোমিটার সংস্কার হয়েছে। এ বছর আরও ৭০ কিলোমিটার সেচ খাল সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ভাবে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জেরে স্নান করতে গিয়ে কিংবা মাছ ধরতে গিয়ে মৃত্যুর অভিযোগও নতুন নয়। শুক্রবারই এই বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “বালি তোলার বিষয়টি গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশের পর জেলা প্রশাসন দেখে। মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাবে বলে দিয়েছেন অবৈধ ভাবে বালি তুললে কঠোর ব্যবস্থা নিতে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy