বাঁ দিকে, সোমবার রাতে নিহত ভাদু শেখ। ডান দিকে, গত বছর জানুয়ারি মাসে খুন হন ভাদু শেখের ভাই বাবর শেখ। —নিজস্ব চিত্র।
গত বছর খুন হয়েছিলেন ভাই। এ বছর খুন হলেন দাদা। সোমবার বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন বড়শাল পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। ঠিক এক বছর তিন মাস আগে খুন হয়েছিলেন ভাদুর ভাই বাবর শেখও।
২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি খুন হয়েছিলেন বাবর। তিনিও সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন। গত পাঁচ জানুয়ারি বগটুই গ্রামের কবরস্থানের কাছে খুন হন বাবর। তাঁর মোটরবাইক আটকে মাথায় গুলি করা হয়েছিল। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই ভাদুই। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাবরকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যালে। কিন্তু পথেই মারা যান বাবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবর এক সময় ট্রাক্টর চালাতেন। পরে রামপুরহাট শহরের এক মুরগি ব্যবসায়ীর গাড়িও চালাতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু তাঁর দাদা ভাদু বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হওয়ার পর থেকে ঠিকাদারি এবং দাদার বিভিন্ন ব্যবসা দেখভাল করতেন বাবর। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদুর এই নানা ব্যবসা নিয়েই তাঁর সঙ্গে অন্য একটি গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব শুরু হয় দীর্ঘ দিন আগেই। অভিযোগ, সেই আক্রোশ গিয়ে পড়ে বার এবং ভাদুর উপর। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভাদুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিল ওই এলাকারই বাসিন্দা পলাশ শেখ, সোনা শেখ, লালন শেখ, সঞ্জু শেখ, মহি শেখ, হানিফ শেরা, চেরা শেখরা। যাদের বিরুদ্ধে বাবরের মতো এ বার ভাদুকে খুনের অভিযোগ উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy